যত দিন যাচ্ছে, ক্রমশ একঘেয়ে হয়ে যাচ্ছে যৌন জীবন? একটু চেষ্টা করলেই কিন্তু সেই রোজনামচা থেকে মুক্তি পেতে পারেন এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড হোক বা প্রথমবার প্রেমিকের সঙ্গে একান্ত সময়যাপন, প্রতিবারই দারুণ উপভোগ করবেন আপনি।
পরিস্থিতি: জীবনে প্রথমবার কারও সঙ্গে মিলিত হবেন
কী করবেন: প্রথমবার কারও সঙ্গে মিলিত হওয়ার আগে অজস্র স্বপ্ন দেখাটা স্বাভাবিক, কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্বপ্নের কাছাকাছি পৌঁছোয় না বাস্তব অভিজ্ঞতা। উলটে অধিকাংশ দম্পতিই খুব অস্বস্তিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হন। প্রথমবার যৌন মিলনের অভিজ্ঞতা উপভোগ করার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে একে অপরের সঙ্গে একান্ত ঘনিষ্ঠ এবং এবং মধুর সময় কাটানো। কোনও পরিস্থিতিতেই দ্বিধা বা উত্তেজনা ভর করলে চলবে না। তাড়াহুড়ো করবেন না। তার চেয়েও বড়ো কথা হচ্ছে, অন্য মানুষটির ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে নিজে কিছু করতে যাবেন না। উত্তেজনা লুকোতে বেশি বেশি করে মদ খেয়ে নেওয়াটাও বোকামি। তাতে মজা পাবেন না, উলটে অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন। যৌন মিলন সম্পর্কে একটু রিসার্চ করলে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
পরামর্শ
আপনারা কেউই কারও শরীরটা চেনেন না। তাই খানিকটা অস্বস্তি তো থাকবেই। আপনাকে মুখ ফুটে বলতে হবে আপনি ঠিক কী চান, ওঁর বক্তব্যটাও শুনতে হবে একইসঙ্গে। পরস্পরের ইচ্ছেগুলো মেটাতে পারলে মিলন হবে সুখকর।
পরিস্থিতি: আপনি আরও অ্যাডভেঞ্চারাস হতে চান
কী করবেন: যাঁদের যৌন জীবন খুব সুখের, তাঁরা অনেক সময়েই আরও নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে ওঠেন। সুস্থ যৌন জীবনের ক্ষেত্রে নানা ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষার কোনও বিকল্প নেই, এটা যেমন ঠিক, তেমনই এটাও ঠিক যে সে বিষয়ে যৌনসঙ্গীর সায় থাকাটাও খুব জরুরি। তিনি রাজি না থাকলে জোর করে কিছু করতে যাওয়াটা শোভন হবে না। আগে বোঝার চেষ্টা করুন আপনার স্বামী বা সঙ্গী কতটা এক্সপেরিমেন্ট করতে আগ্রহী। যদি এমন হয় যে আপনার খুব ইচ্ছে করছে অথচ উনি দ্বিধায় ভুগছেন, তা হলে ব্যাপারটা নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করে দেখতে পারেন। সব ক্ষেত্রে সারপ্রাইজ়ের ফল ভালো হয় না। অনেক সময় এমনকী চোট-আঘাতও লেগে যেতে পারে।
পরামর্শ
2014 সালের ‘জার্নাল অফ ইউরোলজি’ পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে প্রকাশ, ‘উওম্যান অন টপ’ পজ়িশনটা পুরুষের পক্ষে সবচেয়ে বিপজ্জনক, এ থেকে পেনিসে চোট লাগা ও ফ্র্যাকচারও হতে পারে।
পরিস্থিতি: সম্পর্কে একঘেয়েমি কাটিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছেন
কী করবেন: বহুদিন ধরে একজনের সঙ্গেই যৌন সম্পর্ক থাকলে একঘেয়েমি আসাটা খুব স্বাভাবিক। নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার অবসর থাকে না, দুটি মিলনের মধ্যে ব্যবধান ক্রমশ বাড়তে থাকে। সেই সঙ্গে সন্তান, কেরিয়ারের চাপ, রোজের জীবনের স্ট্রেস সব যুক্ত হয়ে সম্পর্কের আঁচটা ক্রমশ ঝিমিয়ে পড়ে। ইচ্ছে থাকলেই কিন্তু আবার প্রথম দিনের মতো আনন্দ ফিরিয়ে আনা সম্ভব। এমনিতেই সেক্সোলজিস্টরা প্রায়ই বলেন যে, সবচেয়ে শক্তিশালী সেক্স অরগ্যান হচ্ছে মানুষের ব্রেন এবং তাকে যথাযথ ট্রেনিং দিলেই যৌন জীবন রঙিন হয়ে উঠতে পারে। একঘেয়েমি কাটানোর জন্য প্রথমেই যেটা করতে পারেন তা হচ্ছে নানা রকম পজ়িশন ট্রাই করে দেখা। রোল প্লে বা কোনও বিশেষ অনুভূতিকে চেপে রেখে অন্যগুলোকে কার্যকর করার চেষ্টা (যেমন চোখ বা হাত বেঁধে রাখা)…অজস্র অপশন আছে। আপনার মনের গভীরে লুকিয়ে থাকা সবচেয়ে সাহসী সেক্সুয়াল ফ্যান্টাসিগুলোকে রোজের জীবনে অ্যাপ্লাই করে দেখুন। বা সঙ্গীর সঙ্গে শহরের বাইরে কোথাও একটা ‘ডার্টি উইকএন্ড’ প্ল্যান করে দেখুন, যেখানে আপনাদের একমাত্র অ্যাজেন্ডা থাকবে শরীরী খেলা!
পরামর্শ
‘‘প্রেম আর যৌন চেতনা কখনওই মানুষকে ছেড়ে যায় না, দৈনন্দিন জীবনের চাপে পিছনের সারিতে চলে যায় মাত্র। সেগুলোকে সামলে আগ্রহ ফিরিয়ে আনাটা আপনার দায়িত্ব।
পরিস্থিতি: সচেতনভাবে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ডে রাজি হয়েছেন
কী করবেন: ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড বললেই মনের মধ্যে নানা চিত্রকল্প জেগে ওঠে। বারে কোনও সেক্সি অপরিচিতের সঙ্গে আলাপ হল, প্রথম থেকেই দারুণ লাগল মানুষটাকে এবং অচেনা কোনও হোটেলের ঘরে দুর্দান্ত একটা রাত কাটালেন আপনারা… লোকটা কেমন, তাঁর সঙ্গে আপনার মনের মিল হবে কিনা, বিয়ের পর তাঁর পরিবারের সঙ্গে মানিয়ে চলতে পারবেন কিনা, এতশত না ভেবে কেবল উপভোগ করার জন্য কোনও অপরিচিতের সঙ্গে যে সম্ভোগ হয়, তার তুল্য আনন্দ অন্য কিছুতে পাওয়া সম্ভব নয়। তবে ওয়ান নাইট স্ট্যান্ড নিয়ে মানসিক উত্তেজনা তৈরি হয় এবং সেটা মুড বিগড়ে দিতে পারে। সে ক্ষেত্রে ভেবে-চিন্তে এগোলেই ঠিক করবেন।
পরামর্শ
অতি অবশ্যই সঙ্গে কন্ডোম রাখবেন। অচেনা কারও সঙ্গে যৌন সম্পর্কে যাওয়ার আগে কনট্রাসেপশন সঙ্গে রাখা মাস্ট, না হলে অনভিপ্রেত গর্ভসঞ্চার বা এসটিডি-র আশঙ্কা থেকেই যায়।