পোড়া তেল বারবার ব্যবহারে হতে পারে যেসব রোগব্যাধি, একনজরে দেখেনিন

বেঁচে থাকা তেলের অপচয় রোধ করতে পরেরদিন আবার অনেকেই তা ব্যবহার করে থাকেন। যা শরীরের জন্য হতে পারে মারাত্মক ক্ষতির কারণ। পোড়া তেল একাধিকবার ব্যবহার করলে দীর্ঘমেয়াদি বিভিন্ন রোগ শরীরে বাসা বাঁধে।

পোড়া তেল পুনরায় ব্যবহারে তৈরি খাবার খেলে শরীরে ফ্রি র্যাডিকেলের পরিমাণ বাড়তে পারে। যা শরীরে বিভিন্ন প্রদাহ সৃষ্টির জন্য দায়ী। ফ্রি র্যাডিকেল শরীরের সুস্থ কোষের সঙ্গে নিজেকে সংযুক্ত করে স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে। ফ্রি র্যাডিকেল কখনও কখনও কার্সিনোজেনিক হতে পারে, যার অর্থ ক্যান্সারের কারণ হতে পারে।

পোড়া তেল ব্যবহারের ফলে এথেরোস্ক্লেরোসিসও হতে পারে। যা খারাপ কোলেস্টেরল বাড়িয়ে তোলে এবং ধমনীতে বাঁধা সৃষ্টি করে। পোড়া তেল বারবার ব্যবহারের কারণে অ্যাসিডিটি, হার্টের অসুখ, আলঝেইমার ডিজিজ, পার্কিনসন ডিজিজ এবং গলা ও বুক জ্বালাসহ বেশ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে পারে।

কতবার তেল ব্যবহার করা যায়?

ডুবো তেলে একবার খাবার তৈরির পর ওই তেল পুনরায় ব্যবহার করা উচিত নয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে কী ধরনের তেল ব্যবহৃত হচ্ছে; তার উপর নির্ভর করে এটি কতবার ব্যবহার করা যাবে। কয়েকটি উপায় অবলম্বন করলে ব্যবহৃত তেলে পুনরায় রান্না করতে পারবেন। জেনে নিন সেগুলো-

অবশিষ্ট তেল ঠান্ডা করে ছেঁকে একটি এয়ারটাইট কনটেইনারে স্থানান্তর করা উচিত। এতে করে তেলের মধ্যে থাকা খাদ্য কণাগুলো সরিয়ে ফেলা হয়, যা খুব শিগগিরই তেল নষ্ট করে ফেলে।

যখনই তেল পুনরায় ব্যবহার করবেন; তখন এর রং এবং ঘনত্ব পরীক্ষা করুন। যদি তেল গাঢ় বা কালচে রং এবং ঘন হয়ে যায়; তবে এটি ফেলে দেওয়ার সময় হয়েছে।

যদি তেল গরম করার সময় ধোঁয়া হয়ে যায় দ্রুত; তাহলে তা ফেলে দেওয়া উচিত। এই তেলে এইচএনই জমে থাকতে পারে। যা একটি বিষাক্ত পদার্থ এবং অনেক রোগের কারণ হতে পারে।

মনে রাখা জরুরি

সব ধরনের ভোজ্য তেলের পুষ্টিগুণ ও উপাদানসমূহ ভিন্ন। কিছু তেল দীর্ঘসময় ধরে চুলার আঁচে ভাজার জন্য উপযুক্ত। এমন তেল উচ্চ তাপমাত্রায় ভেঙে যায় না। যেমন- সূর্যমুখী তেল, সয়াবিন তেল, চালের ব্রান, চিনাবাদামের তেল, তিলের তেল, সরিষার তেল এবং ক্যানোলা তেল।

অন্যদিকে অলিভ অয়েলের মতো তেলগুলো ভাজাপোড়ার জন্য ব্যবহার করা উচিত নয়। এ তেল একবারই ব্যবহার করা যেতে পারে। উচ্চ তাপমাত্রায় এ তেলের পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy