প্ল্যানিং শুরুর আগেই কয়েকটি বিষয়ে সতর্ক থাকলে অনেক সমস্যা এড়াতে পারবেন৷ ঘরের অন্দরসাজ তো আর দু’-এক টাকার বিষয় নয় যে ইচ্ছে হলে পরে বদলে ফেলবেন! তাই আগেই ভালো করে কয়েকটি ভাবনাচিন্তা করে নেওয়া জরুরি৷ বিশেষ করে মধ্যবিত্তদের পকেটসই ফ্ল্যাটগুলি আকারে বেশ ছোটই, হুট করে ভুলভাল সাইজ়ের আলমারি বা বুক কেস কিনে ফেললে খুব মুশকিলে পড়ে যাবেন৷
ট্রেন্ডের পিছনে অযথা ছুটতে যাবেন না: ইদানীং প্রতি বছরের শুরুতেই গৃহসজ্জার নানা দিক, যেমন দেওয়ালের রং, আসবাব, পরদা ইত্যাদি বিষয়ে লেটেস্ট ট্রেন্ডের ঘোষণা হয়ে যায়৷ তবে তার পিছনে ছুটে অযথা শ্রম আর চিন্তাভাবনা ব্যয় করতে যাবেন না৷ ট্রেন্ড প্রতি বছর বদলায়, আপনিও কি সেই অনুযায়ী গৃহসজ্জায় বদল নিয়ে আসতে পারবেন? যদি না পারেন, তা হলে ঘরের জন্য এমন সজ্জা বাছুন যা আপনার রুচি ও ব্যক্তিত্বের পরিচায়ক৷ তা টিকবেও বেশিদিন, পকেটসইও হবে৷
মনে রাখবেন, বাড়িটা মিউজ়িয়াম নয়: বাড়িটা কেবল সাজানোর জন্য হলে মুশকিল, সেখানে থাকাটাই আপনার মূল উদ্দেশ্য হওয়া উচিত৷ অতিরিক্ত সাজালে বাড়িটা মিউজ়িয়াম বা আর্ট গ্যালারির মতো দেখতে লাগবে৷
প্রথমেই ঘরের রং বাছাই করবেন না: আগে ভেবে নিন কোন ধরনের আসবাব কিনবেন, তার পর বাছুন দেওয়ালের রং৷ আগে দেওয়াল রং করিয়ে ফেললে মনের মতো আসবাবের খোঁজে পরে অনেক ঘুরতে হবে৷
আসবাব কেনার আগে অবশ্যই ঘরের মাপ নিন: ঘরের মাপ না নিয়ে ফার্নিচার কিনবেন না, তাতে নানা অসুবিধে হয়৷ দরজা দিয়ে ঢুকবে না আসবাব, চোট পেয়ে যাবে৷
কোন ধরনের আলো লাগাবেন ঘরে, সেই সিদ্ধান্ত নিন: আজকাল সবাই প্রায় মুড লাইটিংয়ের ব্যবহার করেন৷ তবে কোন ঘরে ঠিক কী কাজ হবে, সেই বুঝে আলো বেছে নিন৷ যে ঘরে পড়াশোনা হয়, সে ঘরের জন্য জোরালো আলো প্রয়োজন৷
সব কিছু ম্যাচিং করাতে যাবেন না: ঘরের আসবাব, পরদা, আপহোলস্ট্রি সব কিছু ম্যাচ করানোর কোনও দরকার নেই৷ এক্সপেরিমেন্ট করুন নানা ধরনের রং, টেক্সচার নিয়ে৷ এক এক ঘরে এক এক ধরনের অন্দরসাজ থাকলে বরং বাড়ির ক্যারেক্টারটা ভালো বোঝা যায়৷