: নিজের দেহের সঠিক ওজন বজায় রাখতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন? ডায়েট করছেন, ব্যায়াম করছেন, তবুও কিছুতেই ওজন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারছেন না? তাহলে এবার হয়তো এর জন্য আপনার বাবাকে দায়ী করতে পারেন! সম্প্রতি এক আন্তর্জাতিক গবেষণায় এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে। ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে এই বিষয়টি বিস্তারিতভাবে জানানো হয়েছে।
বিষয়টি শুনতে অনেকের কাছেই বেশ অদ্ভুত লাগতে পারে যে একজন ব্যক্তির অতিরিক্ত ওজন হওয়ার পেছনে তার পিতার ভূমিকা কী থাকতে পারে। তবে গবেষকরা বলছেন, অনেকের ক্ষেত্রেই এই তত্ত্ব সত্যি হতে পারে।
গবেষকদের দাবি, একজন ব্যক্তির মোটা হয়ে ওঠার পেছনে শুধু তার খাদ্যাভ্যাস বা জীবনযাত্রাই দায়ী নয়, এর মূলে অনেক ক্ষেত্রেই বংশগতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে, পিতার শুক্রাণুর মাধ্যমেই এই সংক্রান্ত তথ্য সন্তানের শরীরে স্থানান্তরিত হতে পারে।
গবেষকরা বিভিন্ন ব্যক্তির শুক্রাণু পর্যবেক্ষণ করে এই বিষয়টি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়েছেন।
এই গবেষণাপত্রের প্রধান লেখক এবং কোপেনহেগেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক রোমেইন ব্যারেস জানিয়েছেন, “এই গবেষণার ফলাফল থেকে স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে যে শুক্রাণুতে শুধু জিনগত তথ্যই থাকে না, বরং একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ তথ্যও সঞ্চিত থাকে।”
এই গবেষণাটি পরিচালনার জন্য গবেষকরা প্রাথমিকভাবে ১৩ জন রোগা এবং ১০ জন স্থূল ব্যক্তিকে নির্বাচন করেছিলেন। এছাড়াও, তারা আরও ছয়জন স্থূল ব্যক্তিকে তাদের ওজন কমানোর অস্ত্রোপচারের আগের এবং পরের পরিস্থিতিতে পর্যবেক্ষণ করেছিলেন।
গবেষণায় দেখা গেছে, জিনগত তথ্যের পাশাপাশি শুকনো ও মোটা মানুষদের শরীরের ওজনের তথ্যও তাদের শুক্রাণুর মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে স্থানান্তরিত হয়। এর ফলে তাদের সন্তানরাও পিতার মতোই স্থূল বা রোগা হওয়ার প্রবণতা দেখাতে পারে।
এই গবেষণাটি বংশগতি এবং শারীরিক স্বাস্থ্যের মধ্যে একটি নতুন যোগসূত্র স্থাপন করল বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তবে এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত গবেষণা প্রয়োজন বলে তারা জানিয়েছেন।