দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী যত বেশি সুখী, স্বামীও তত সুখী : গবেষণা

মানুষের চাহিদা দুই রকম, মানসিক চাহিদা ও শারীরিক চাহিদা। দাম্পত্য সম্পর্কে এ দুই ধরনের চাহিদারই আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। সংসারে নারীর সুখের সঙ্গে স্বামীর সুখ অনেক বেশি সম্পর্কিত। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্ত্রীকে সুখী করতে পারলে সংসার সুখী হবে।
আমাদের প্রচলিত ধারণা, সংসারে সুখী হয় রমণীর গুণে- যা একটি পুরুষশাসিত সমাজের জন্য একটি সুবিধাজনক বাক্য। নিউ জার্সির রুটগার্স ইউনিভার্সিটির একটি সমীক্ষা বলছে, দীর্ঘমেয়াদি দাম্পত্য জীবনে স্ত্রী যত বেশি সুখী, স্বামীও তত সুখী।

মেডিকেল নিউজ টুডে-তে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গড়ে ৩৯ বছর বিবাহিত এমন ২৯৪ দম্পতির উপর পরিচালিত হয় গবেষণাটি। তাদের দেওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, যেসব নারীরা দাম্পত্য জীবনে সুখী তারা ৬ পয়েন্টের মধ্যে বেশিরভাগই ৫। স্বামীরা নিজেদেরকে সুখী মনে করেন অধিকহারে। বিবাহ সম্পর্কে স্বামীদের রেটিং তাদের স্ত্রীদের চেয়ে বেশি ইতিবাচক ছিল!

নান তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে গবেষকরা জানিয়েছেন, একজন স্ত্রী জীবন নিয়ে যত বেশি সন্তুষ্ট থাকেন, ঠিক একজন স্বামীও তার জীবন নিয়ে ততই বেশি সুখী বোধ করেন। নারীদের এই বিষয়ের সঙ্গে মনোবিজ্ঞান জড়িত। দাম্পত্য জীবন যেসব নারীরা সুখী তারা সঙ্গীর জন্য আরো বেশি কিছু করার প্রচেষ্টা চালান। যা স্বামীর জীবনে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে!

গবেষণায় আরো দেখা গেছে, একজন স্ত্রী অসুস্থ হলে স্বামীর ওপর পুরোপুরি নির্ভর করতে পারেন না। তিনি নির্ভর করেন কন্যা বা মেয়ের উপর। কিন্তু এই সময় স্বামীর সুখের মাত্রা নিন্মগামী হয়। অন্যদিকে একজন স্বামী অসুস্থ হলে স্ত্রী যথাসাধ্য তাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা চালান। এই সময় স্বামীর সুখের মাত্রা অপরিবর্তনশীল থাকে।

গবেষণা এটি প্রমাণ করে যে, দাম্পত্য সম্পর্ক টেকসই করতে স্বামী-স্ত্রী দুজনেরই সমান অবদান রাখার সুযোগ রয়েছে।অসুস্থতাসহ ও অন্যান্য অসুবিধায় একে অপরের প্রয়োজন মেটাতে সচেতনভাবে মনোযোগী হতে হবে। তবেই পাওয়া যাবে সুখের সংসার।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy