গরম হোক বা ঠান্ডা, টক কিছু খেলেই দাঁতে শিরশিরে অনুভূতি? এই অস্বস্তিকর সমস্যার নাম ‘টুথ সেনসিটিভিটি’ বা দাঁতের সংবেদনশীলতা। এই ভয়ে অনেকেই পছন্দের খাবার থেকে নিজেদের বঞ্চিত করেন। তবে সুখবর হলো, কিছু ঘরোয়া উপায়ে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই সহজ টিপসগুলো:
নুন জলে কুলকুচো
দাঁতের সুরক্ষায় মাউথওয়াশ ব্যবহার করলে অনেক সময় দাঁতে বিশ্রী দাগ পড়ে যেতে পারে। এর বদলে প্রতিদিন সকালে ও রাতে দাঁত মাজার পর হালকা গরম নুন জলে ভালো করে কুলকুচো করে নিন। এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চা চামচ লবণ মিশিয়ে নিলেই এই উপকারী দ্রবণটি তৈরি হয়ে যাবে। এটি দাঁতকে পরিষ্কার রাখতে এবং সংবেদনশীলতা কমাতে সাহায্য করবে।
মধু ও হালকা গরম জল
এক গ্লাস হালকা গরম জলে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে মুখ ধুয়ে নিলেও একই রকম উপকার পাওয়া যায়। এটি মুখের ভেতরে একটি আরামদায়ক অনুভূতি দেবে। তবে রাতে শোওয়ার আগে এটি না করাই ভালো।
গ্রিন টি মাউথওয়াশ
আপনার দাঁতের সংবেদনশীলতা কমাতে ব্যবহার করতে পারেন গ্রিন টি। গ্রিন টি তৈরি করে নিন এবং ঠাণ্ডা করে দিনে দুইবার মাউথওয়াশ হিসেবে ব্যবহার করুন। এটি আপনার মুখের ভেতরের অংশকে ঝরঝরে ও তাজা করে তুলবে।
ক্যাপসাইসিন জেল
লঙ্কার ঝালের জন্য দায়ী ক্যাপসাইসিন নামক যৌগটি যেকোনো প্রদাহ কমাতে দারুণ কার্যকর। বাজারে ক্যাপসাইসিন জেল বা মাউথওয়াশ পাওয়া যায়, যা দাঁতের সংবেদনশীলতার চিকিৎসায় ব্যবহার করা যেতে পারে। প্রথমদিকে একটু জ্বলতে পারে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এই অস্বস্তি কমে যাবে।
ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট
একটি তুলোয় করে ভ্যানিলা এক্সট্র্যাক্ট নিয়ে মাড়িতে কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। এরপর হালকা গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে নিন। নিয়মিত কিছুদিন ব্যবহার করলেই আপনি এই পদ্ধতিতে ভালো ফল পাবেন।
এই ঘরোয়া উপায়গুলো মেনে চললে দাঁতের শিরশিরে অনুভূতি থেকে অনেকটাই মুক্তি পেতে পারেন। তবে, যদি সমস্যাটি দীর্ঘস্থায়ী হয় বা তীব্র হয়, তবে অবশ্যই একজন দন্তচিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।