যদি একটি মাত্র খারাপ ডিমও অমলেটের জন্য ভাঙা হয়, তবে তা অন্যান্য ভালো ডিমগুলিকেও নষ্ট করে ফেলে, যা শেষ পর্যন্ত ফেলে দিতে হয়। তাই, ফ্রিজ থেকে বের করার সঙ্গে সঙ্গেই ডিমগুলি ভালো না খারাপ, তা চিনে নেওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। বাজারে তাজা ডিম চেনার অনেক কৌশল প্রচলিত আছে। তবে গরমকালে অন্যান্য জিনিসের মতোই ডিমও খুব তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যায়। এই পরিস্থিতিতে, ডিমটি খারাপ হয়েছে কি না, তা জানতে আপনার হাতের মোবাইল ফোনটিই যথেষ্ট সাহায্য করতে পারে।
খারাপ ডিম চেনার সহজ উপায়:
একটি খারাপ ডিম যদি চারটি ভালো ডিমের সাথে মিশে যায়, তবে পুরো মিশ্রণটিই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। তাই, ডিম ভাঙার আগেই হাতের কাছে রাখা মোবাইল ফোনের সাহায্যে ডিমটি ভালো না পচা, তা সহজেই শনাক্ত করা যেতে পারে। কেবল এই কয়েকটি ধাপ অনুসরণ করুন:
১. মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালান: প্রথমে আপনার মোবাইল ফোনের টর্চলাইটটি চালু করুন।
২. ডিমের উপর টর্চের আলো ধরুন: এবার ডিমটি হাতে নিন এবং না ভেঙে, সরাসরি টর্চলাইটের ঠিক উপরে ধরুন।
৩. পর্যবেক্ষণ করুন: যদি ডিমটি সম্পূর্ণ তাজা এবং ভালো হয়, তাহলে টর্চ বা টর্চের আলোয় ডিমের ভেতরের হলুদ অংশটি ডিমের খোসার ওপর থেকে স্পষ্টভাবে উজ্জ্বল দেখাবে। ডিমটি হালকা রঙ পরিবর্তন করতে পারে এবং হলুদাভ দেখাবে।
৪. খারাপ ডিমের লক্ষণ: অন্যদিকে, যদি ডিমটি না ভেঙে টর্চলাইটের উপরে ধরা হয় এবং টর্চের আলো তার উপর পড়ে, তাহলে ডিমের ভেতরটা কালো বা ঘোলাটে বাদামী রঙের দেখাবে। এর অর্থ হল ডিমটি ভেতর থেকে পচে গেছে। এছাড়াও, যদি টর্চলাইটের আলো ধরলেও ডিমের রঙ অপরিবর্তিত থাকে, তাহলেও বুঝতে হবে ডিমটি নষ্ট হয়ে গেছে। এই সহজ কৌশলটি একবার ব্যবহার করে দেখতে পারেন।
জলে ডুবিয়ে পরীক্ষা:
গরমকালে ডিম খুব দ্রুত পচন ধরতে শুরু করে। তাই, ফ্রিজ থেকে ডিম বের করার পর অথবা বাজার থেকে আনার পর, ডিমগুলো একটি পাত্রে জলে ডুবিয়ে পরীক্ষা করতে পারেন। যদি ডিমটি জলের উপর ভাসতে থাকে, তবে এর অর্থ হল ডিমটি পচা এবং ভেতর থেকে নষ্ট হয়ে গেছে। ভালো ডিম জলের তলায় ডুবে যাবে।
এই সহজ দুটি পদ্ধতির মাধ্যমে আপনি সহজেই খারাপ ডিম শনাক্ত করতে পারবেন এবং আপনার রান্নায় শুধুমাত্র ভালো ডিম ব্যবহার করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন খাবারের স্বাদ বজায় থাকবে, তেমনই অপচয়ও কম হবে।