আজকাল কালো চুলের কদর অনেকটাই কমেছে। ফ্যাশন সচেতন অনেকেই এখন চুলে নানা ধরনের রঙ ব্যবহার করছেন। তবে চুলে আসল রং বসানোর জন্য আগে ব্লিচ করে নেওয়াটা যেন একরকম বাধ্যতামূলক হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুলে ব্লিচ করে প্রথমে চুলকে সোনালি রঙে রূপান্তরিত করা হয়, তারপর পছন্দের রং প্রয়োগ করা হয়, যাতে তা সহজেই চুলে বসে যায়।
তবে, কালো চুলের উপর সরাসরি অন্য রং ব্যবহার করলে তা তেমন ফুটে ওঠে না বলেই হেয়ার কালার করার সময় পার্লারগুলোতে ব্লিচের ব্যবহার বেড়েছে। বর্তমানে চুল রাঙিয়ে তুলতে সবাই কমবেশি চুলে ব্লিচ ব্যবহার করছেন, যা চুলের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর হতে পারে। তাই ব্লিচ ব্যবহারের আগে কয়েকটি বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখা প্রয়োজন।
কম খরচে ব্লিচ নয়!
চুলে ব্লিচ করার খরচ বেশ ব্যয়বহুল। এর পাশাপাশি, অভিজ্ঞ এবং দক্ষ হাতেই ব্লিচ করানো দরকার। নয়তো চুল নষ্ট হতে সময় লাগবে না! কারণ চুলে ব্লিচ করার জন্য সঠিক রাসায়নিক দ্রব্য এবং এর সঠিক প্রয়োগ পদ্ধতি জানা অত্যন্ত জরুরি। অনেকেই না বুঝেই কম খরচে ব্লিচ করতে ছোটেন। এমন ক্ষেত্রে দু’বার ভাবুন। ব্লিচ করার আগে জেনে নিন ঠিক কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে এবং সেটি চুলের জন্য কতটা ক্ষতিকর।
ত্বক পরীক্ষা জরুরি
চুলে ব্লিচ করার পর ত্বকে নানা পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। যেমন – ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ফুলে যাওয়া, যন্ত্রণা ইত্যাদি। এজন্য ব্লিচ করার আগে ত্বক পরীক্ষা করে নেওয়া উচিত। বিশেষ করে যাদের মাথার ত্বক সংবেদনশীল, তারা অবশ্যই চিকিৎসক কিংবা বিশেষজ্ঞের সঙ্গে পরামর্শ করে তবেই চুলে ব্লিচ করান। একটি ছোট অংশে ব্লিচ ব্যবহার করে দেখা যেতে পারে কোনো অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হচ্ছে কিনা।
ব্লিচের পর মেনে চলুন নিয়ম
চুলে ব্লিচ করার পর কিছু নিয়ম মানা জরুরি। যেমন – চুলে খুব বেশি শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার না করা। বরং হেয়ার মাস্ক ব্যবহার করা এবং চুল প্রাকৃতিক হাওয়ায় শুকিয়ে নেওয়ার অভ্যাস করুন। ব্লিচ করা চুল এমনিতেই দুর্বল হয়ে যায়, তাই অতিরিক্ত রাসায়নিক প্রয়োগ বা তাপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা উচিত।
স্কাল্পের সমস্যা ও চুল পড়া
ব্লিচ করার পর চুল অনেকটাই বদলে যায়। চুলে বাউন্সিভাব এলেও দেখা দিতে পারে শুষ্ক স্কাল্পের সমস্যা। এর কারণে চুল পড়া বেড়ে যেতে পারে। এমন ক্ষেত্রে দেরি না করে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া উচিত। কারণ, সঠিক যত্ন না নিলে চুলের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে।
চুলে ব্লিচ করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে এই বিষয়গুলো carefully বিবেচনা করুন। আপনার চুলের স্বাস্থ্যই সবার আগে।