ভালোবাসা,প্রেম বা প্রণয় যাই বলুন না কেন, সবকিছুর বর্হিপ্রকাশ ঘটে চুম্বনের মধ্য দিয়েই। চুম্বনের মধ্য দিয়েই যেন ঘটে এক হয়ে যাওয়ার প্রয়াশ। এ নিয়ে আগ্রহেরও শেষ নেই। কিন্তু বেশিরভাগ মানুষেরই হয়তো জানা নেই চুম্বনের নেপথ্যের সব তথ্য।
তাই ১৩ই ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব চুম্বন দিবস’ উপলক্ষে তা জেনে নিন কিছু কথা।
সাধারণত দেখা গেছে, বিশ্বের দুই-তৃতীয়াংশ মানুষ মাথা ডানদিকে হেলিয়ে তারপর চুম্বন করেন৷ বিখ্যাত পেন্টিং,ভাস্কর্য, নেমাতেও নায়ক নায়িকাদেরও এইভাবে চুমু খেতে দেখা গেছে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থাতে থেকেই এর সূত্রপাত। একজন শিশু মায়ের গর্ভে ডানদিকে মাথা হেলিয়ে থাকেন।
বিজ্ঞানীদের মতে, চুম্বনের সময় মোট ১৪৬ টি পেশি কাজ করে। এর মধ্যে ৩৪টা মুখের মাংসপেশি। চুমু খেলে মুখে ও চিবুকে জমে যাওয়া মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।
এক সমীক্ষা বলছে, একজন সাধারণ মানুষ তার পুরো জীবনের গড়পড়তা ২০,১৬০ মিনিট অর্থাৎ দু’সপ্তাহ সময় চুমুর পিছনে ব্যয় করেন ৷
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নারীরা নিজের স্বপ্নের পুরুষ খুঁজে পেতে গড়ে ১৫ জন পুরুষকে চুমু খান। যৌন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পার্টনার পছন্দের জন্য মেয়েরা চুমুর উপর গুরুত্ব দেন সবচেয়ে বেশি।
আর ইতিহাস বলছে, ১৪৩৯ সালে ১৬ জুলাই ইংল্যান্ডের তৎকালীন রাজা পঞ্চম হেনরি রোগ ছড়িয়ে পড়ার ভয়ে চুমু-কে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ৷ কথিত আছে, এই ঘোষণার পর তার রাজ্যে অরাজকতা তো দেখা গিয়েছিলই সঙ্গে রাজা নিজেও দীর্ঘকাল এরকম নিষেধাজ্ঞা পালন করে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ৷