চর্বি কমাতে চায়ের চেয়ে কফি বেশি কার্যকর, জানাল গবেষণা

বাড়তি চর্বি নিশ্চয়ই দুশ্চিন্তার কারণ। এই চর্বির কারণে হতে পারে নানা অসুখ। তাই শরীর থেকে বাড়তি চর্বি ঝরিয়ে ফেলার চেষ্টা করেন প্রত্যেক সচেতন মানুষ। চর্বি কমাতে আপনাকে সাহায্য করতে পারে কফি। তবে এই কফি দুধ-চিনি মেশানো নয়, হতে হবে ব্ল্যাক কফি।

এককাপ ব্ল্যাক কফিতে ক্যালোরির পরিমাণ ২। ডিক্যাফেইনেটেড বীজ থেকে বানান হলে তাতে আবার একেবারেই ক্যালোরি থাকে না। এছাড়াও ব্ল্যাক কফিতে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড নামে একটি উপাদান রয়েছে, যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। রাতের খাবার খাওয়ার পরে এককাপ ব্ল্যাক কফি খেলে শরীরে ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড গ্লুকোজ উৎপাদনে বাধা দেয়। ফলে নতুন ফ্যাট কোষ তৈরি হয় না।

শুধুমাত্র ক্লোরোজেনিক অ্যাসিডই যে ওজন কমানোর জন্য কালো কফিকে আদর্শ করে তুলেছে তা নয়। ব্ল্যাক কফিতে বিভিন্ন অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস আছে যা দ্রুত ওজন কমানোর সহায়ক।

ব্ল্যাক কফিতে থাকে ক্যাফিন যা খুব দ্রুত বিপাকের ক্রিয়াকলাপ বাড়ায় এবং আমাদের শরীরের শক্তির জোগান দেয়। ফলে ক্ষুধা কম পায়। তবে চিনি বা অন্যান্য মিষ্টি যুক্ত করে একে লো-ক্যালোরি পানীয় বানাবেন না।

ব্ল্যাক কফির সঙ্গে যদি সামান্য মধু আর লেবু যোগ করে খেতে পারেন, তাহলে যেমন স্বাদ বাড়ে তেমনই তা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এমনিতেই লেবু আর মধু ওজন কমানোর সহায়ক। আর তার সঙ্গে যদি যুক্ত হল ব্ল্যাক কফি তাহলে ওজন কমবেই।

দুধ দিয়ে কফি পান করার খুব ইচ্ছা হলে আমন্ড কিংবা সয়া মিল্ক দিয়ে খান। তাতে শরীরও ভালো থাকবে। ওজনও কমবে।

ব্ল্যাক কফি সকালে খালি পেটে না খাওয়াই ভালো। লেবু-মধু মিশিয়ে এই কফি খাওয়ার আদর্শ সময় হলো সন্ধ্যাবেলা। এতে অতিরিক্ত ফ্যাট জমবে না। অনেকেই বলেন রাতে ব্ল্যাক কফি খেলে ঘুম আসে না। কিন্তু এক্ষেত্রে সমস্যা হয় না। কফির সঙ্গে মধু আর লেবুর রস মেশালে হজম ভালো হয়।RS

যেভাবে তৈরি করবেন
প্রথমে এককাপ জল গরম করুন। তাতে কফি মিশিয়ে কিছুটা সময় ফুটিয়ে নিন। এবার কাপে সামান্য গোলমরিচের গুঁড়া আর লেবু-মধুর মিশ্রণ বানিয়ে নিন। কফি ছেঁকে নিন। ৫ মিনিট রেখে একটু ঠান্ডা করে খান। মধুর বদলে ব্রাউন সুগারও ব্যবহার করতে পারেন।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy