তেতো বলে যে সবজিটি খেতে একটু কম পছন্দ করছেন, সেটি কতটা উপকারী তা জানেন কি? বুঝতেই পারছেন, বলছি করলার কথা। কারণ তেতো শাক-সবজির তালিকা করলে সবার উপরেই থাকবে এই সবজির নাম। করলায় থাকে পর্যাপ্ত ভিটামিন সি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম এবং ফাইবার। এসব উপাদান আমাদের অনেকর অসুখ থেকে বাঁচতে সাহায্য করে।
ডায়াবেটিস, কোষ্ঠকাঠিন্য, সর্দিকাশি, হাঁপানি, পেটের রোগসহ নানা স্বাস্থ্যগত সমস্যার সমাধান মিলতে পারে করলা খেলে। শুধু কি তাই? করলা খাওয়ার পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন চুলের যত্নেও। অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন এই তেতো করলা কীভাবে চুলের উপকার করবে? চলুন তবে জেনে নেওয়া যাক-
চুলের উজ্জ্বলতা ফেরাতে কাজ করে
দীর্ঘদিন অযত্নে থাকলে চুল এক সময় তার উজ্জ্বলতা হারাতে শুরু করে। তখন সেই হারানো উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনা মুশকিল হয়ে যায়। এক্ষেত্রে কিন্তু দারুণ কার্যকরী হলো করলার রস। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল আবার আগের মতোই ঝলমলে হয়ে উঠবে। আপনি যদি আপনার নিষ্প্রাণ ও শুষ্ক চুলে প্রাণ ফেরাতে চান তবে চুলে ব্যবহার করুন করলার রস।
চুল পড়া বন্ধ করে
চুল পড়ার সমস্যায় ভুগছেন না, এমন মানুষ খুব কমই পাওয়া যাবে। আপনার যদি চুল পড়ার সমস্যা থাকে তবে সমাধান হিসেবে বেছে নিতে পারেন করলাকে। করলার রস করে নিয়ে তার সঙ্গে চিনি মিশিয়ে চুলে লাগিয়ে রাখুন। এভাবে অপেক্ষা করুণ মিনিট ত্রিশেক। এরপর ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত এভাবে ব্যবহার করলে দেখবেন চুল পড়া অনেকটাই কমে গেছে। কারণ করলা চুলের গোড়া শক্ত করতে সাহায্য করে।
খুশকির সমস্যায় কার্যকরী সমাধান
খুশকির সমস্যা আপাতদৃষ্টিকে ছোট মনে হলেও এটি কিন্তু বেশ ভোগান্তির কারণ হতে পারে। স্ক্যাল্পে চুলকানি এমনকী ঘায়ের কারণও হতে পারে এই খুশকি। তাই এ ধরনের সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করা জরুরি। প্রাকৃতিক উপায়ে খুশকি দূর করতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন করলা। এক টুকরো করলা নিয়ে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে ঘষে নিন। প্রতিদিন এভাবে ব্যবহার করলে চুল অনেকটাই খুশকিমুক্ত হবে। সেইসঙ্গে অকালে চুল পাকার সমস্যাও দূরে এটি।