কাঠবাদাম খেলেই কমবে ভুঁড়ি, সাতদিনেই পাবেন সুফল! বিস্তারিত জানতে পড়ুন

হৃদরোগের ঝুঁকির অন্যতম কারণ অতিরিক্ত পেটের চর্বি। তাই মেদ কমাতে প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় যোগ করতে পারেন কাঠবাদাম বা অ্যালমন্ড। এতে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমবে।

পেনসিলভেনিয়া স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ক্লেয়ার বেরিম্যানের করা এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিদিন উচ্চমাত্রার কার্বোহাইড্রেটযুক্ত স্ন্যাকসয়ের বদলে ৪২ গ্রাম কাঠবাদাম খেলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

শুধু তাই নয়, আরও দেখা গেছে কাঠবাদাম পেটের মেদও কমায়।

বেরিম্যান জানান, ১২ সপ্তাহব্যাপী এই গবেষণায় অংশগ্রহণ করেন ৫২ জন অতিরিক্ত ওজনের অধিকারী মধ্যবয়স্ক ব্যক্তি, যারা স্বাস্থ্যবান তবে তাদের লো ডেনসিটি লিপোপ্রোটিন বা ‘খারাপ’ কোলেস্টেরল আছে।

গবেষণায় দেখা গেছে প্রতিদিন কাঠবাদাম খেলে হৃদযন্ত্র ভালো থাকে। তাছাড়া কাঠবাদাম খেলে পেটের মেদও কমে।

এই সময়ের মধ্যে অংশগ্রহণকারীরা কম কোলেস্টেরল যুক্ত খাবার খায়। তবে এদের মধ্যে একদলকে স্ন্যাকস হিসেবে দেওয়া হয়

৪২ গ্রাম কাঠবাদাম আর অন্যদলকে কলা দিয়ে তৈরি মাফিন। কাঠবাদাম ও মাফিন দুটোর ক্যালোরির পরিমাণ সমান ছিল।

অংশগ্রহণকারীদের শরীরের ওজন এবং প্রয়োজনীয় ক্যালোরি অনুযায়ী সবধরনের খাবার ও স্ন্যাকস খেতে দেওয়া হয়। আর তাদের

খাদ্যাভ্যাস ছয় সপ্তাহ ধরে অনুসরণ করা হয়।

ফলাফল হিসেবে দেখা গেছে মাফিনের পরিবর্তে যারা স্ন্যাকস হিসেবে কাঠবাদাম খেয়েছেন তাদের পেটের চর্বি, মোট কোলেস্টেরল, এলডিএল কোলেস্টেরল, নন-এইচডিএল

কোলেস্টেরল এবং রক্তের অন্যান্য চর্বির পরিমাণ কমেছে। বরং যারা মাফিন খেয়েছিলেন

তাদের এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের পরিমাণ কাঠবাদাম খাওয়া অংশগ্রহণকারীদের তুলনায় কমে গেছে।

বেরিম্যান বলেন, “তাই বিপাকীয় এবং হৃদযন্ত্রের বিভিন্ন রোগের শুরুতেই প্রতিরোধ গড়তে একটি সহজ উপায় হতে পারে স্ন্যাকস হিসেবে কাঠবাদাম খাওয়া।”

আমেরিকান হার্ট এসোসিয়েশনের জার্নালে এই গবেষণা প্রকাশিত হয়।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy