কতগুলো লক্ষণ দেখে বোঝা যায় যে আপনি শপাহলিক কিনা, জানতে চাইলে বিস্তারে পড়ুন?

আপনার কি সারাক্ষণ হাল ফ্যাশনের পোশাক পরতে ভালো লাগে? আর সম্প্রতি বুঝতে পেরেছেন যে ফ্যাশন নিয়ে অতিরিক্ত মাতামাতি করতে গিয়ে এত পয়সাকড়ি খরচ হয়ে যাচ্ছে যে মাসের অর্ধেক না পেরোতেই ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে? তা হলে কিন্তু এবার সতর্ক হওয়ার সময় এসে গিয়েছে। এমন কতগুলো লক্ষণ আছে যা দেখে স্পষ্ট বোঝা যায় যে আপনি শপাহলিক। সেগুলি কী, জানতে চান?

শপিং আপনার আর্থিক অবস্থায় গভীর প্রভাব ফেলছে: কোনও অভ্যেস মাথায় চড়ে বসছে কিনা তা বোঝার সবচেয়ে সহজ রাস্তা হচ্ছে আপনার সামগ্রিক জীবনযাপন পদ্ধতিতে তার প্রভাব কীভাবে পড়ছে তা খতিয়ে দেখা। শপিং যদি আপনার পকেটে রীতিমতো প্রভাব ফেলে, তা হলে সতর্ক হয়ে পড়ুন সময় থাকতেই। কোনওভাবে বাড়তি কোনও টাকাপয়সা হাতে এলেও যাঁরা জামাকাপড়-জুতো-ব্যাগ কিনে ফেলেন, তাঁরাও সতর্ক হোন।

মাত্রাতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে প্রায়ই ক্রেডিট কার্ডের লিমিট পেরিয়ে যায়: এটাও একটা খুব স্পষ্ট ইঙ্গিত। ক্রেডিট কার্ডে প্রচুর ঋণের বোঝা থাকা বা লিমিটের বাইরে গিয়ে খরচের অভ্যেস থাকলে সাবধান। কেনাকাটির কারণে ক্রেডিট কার্ডে বিপুল পরিমাণ ঋণের বোঝা চাপাবেন না, জীবনে আরও অনেক জরুরি প্রয়োজন আসতে পারে, তখন কোথায় যাবেন?

আলমারি ঘাঁটলে সব সময়েই এক বা একাধিক আনকোরা পোশাক খুঁজে পান: কবে কিনেছিলেন ভুলেই গিয়েছেন, কিন্তু আলমারি ঘাঁটলেই কোনও না কোনও পোশাক দেখে নিজেই আশ্চর্য হয়ে যান? আপনি সত্যিই যে অপ্রয়োজনে প্রচুর কেনাকাটি করেন, এটা তার স্পষ্ট উদাহরণ। যাঁরা শপাহলিক হন, তাঁরা সাধারণত নতুন কিছু কেনার পরেই সেটা লুকিয়ে ফেলেন, দুনিয়াকে জানতে দিতে চান না তাঁদের দুর্বলতার কথা।

কেনাকাটি করার পরই মন খারাপ হয়: আপনি নিজেই জানেন যে প্রয়োজনের অতিরিক্ত জিনিসপত্র কিনছেন, তাই জন্যই মন খারাপ হচ্ছে। কিন্তু তার ফলে যে কেনাকাটি বন্ধ করে দিতে পারছেন, তা নয়। বরং এই মনখারাপটা থামাতে গিয়েই আবার কেনাকাটি করতে হচ্ছে। যে কোনও স্ট্রেস কাটাতে গেলেই যাঁদের শপিং করতে হয়, তাঁরা সাবধান।

সিনেমা দেখা, আড্ডা দেওয়ার চেয়েও শপিং বেশি পছন্দ: যে যে কাজগুলি করে মানুষের মন হালকা হয়, তাতেও আপনি কেনাকাটি করার মতো আনন্দ পান না। সিনেমা দেখার চেয়ে মলে ঘুরে ঘুরে কেনাকাটি করতে আপনার বেশি ভালো লাগে। ব্যায়াম করা বা ভালো খাওয়াদাওয়ার দিকেও মোটেই মন নেই। বরং যেদিন দোকানে গিয়ে কিছু কেনাকাটি হয় না, সেদিন অন্ততপক্ষে অনলাইনে শপিং করতেই হয় আপনাকে।

এই পরিস্থিতিতে কী করা যায়: স্বীকার করুন, আপনার একটা সমস্যা আছে। সেই সমস্যা কোন কোন ক্ষেত্রে চাগাড় দেয় এবং নিয়ন্ত্রণের বাইরে বেরিয়ে যায়, সেটা বুঝতে পারবেন সহজে। ব্যাগে খুব বেশি টাকা বা ক্রেডিট কার্ড রাখার দরকার নেই। আর যদি বোঝেন যে সমস্যা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাচ্ছে, তা হলে আর দেরি না করে বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হোন।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy