সুস্থ জীবন যাপন করতে কে না চায়! সুস্থ থাকার জন্য প্রতিদিন কত কিছুই না করি আমরা। কিন্তু আমাদের কিছু অসাবধানতা বা বাজে অভ্যাসের জন্য আমরা নিজেদের অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছি নিজেদের অকাল মৃত্যুর ঝুঁকি! জেনে নেওয়া যাক ৪টি এমন কাজ সম্পর্কে যেগুলো আমাদের অজান্তেই বাড়িয়ে দিচ্ছে অকাল মৃত্যুর সম্ভাবনা!
বালিশের নিচে বা পকেটে মুঠোফোন রাখা
মুফোফোন বর্তমানে অত্যন্ত অপরিহার্য একটি সামগ্রি। এই মোবাইল ফোন জামার বুক পকেটে রেখে সারাদিনই নিজের নানা কাজের মধ্যে ডুবে থাকেন অনেকেই। আর রাতে ঘুমানোর সময় বালিশের নীচে ফোন রাখাটাও অনেকেরই অভ্যাস। কিন্তু জানেন কি, বুক পকেটে ফোন রাখা বা বিছানায় বালিশের নিচে ফোন রাখার অভ্যাস আপনার আয়ু কমিয়ে দিচ্ছে খুব দ্রুত? মোবাইল ফোনের ক্ষতিকর রেডিয়েশন আমাদের হৃদযন্ত্র (হার্ট) ও মস্তিষ্কের (ব্রেইন) জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই এই অভ্যাস ত্যাগ করাই ভাল।
রাত জাগার অভ্যাস
সম্প্রতি তরুণ প্রজন্মের রাত জাগার অভ্যাসটা অনেক বেশি। সারাদিন ক্লাস করে এসেও রাতে না ঘুমিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চ্যাট বা অন্যান্য বিষয় ঘাঁটাঘাঁটি করে রাত কাটিয়ে দেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলেছেন অনেকেই। তাছাড়া বর্তমানে বিভিন্ন অফিস-কাছাড়িতেও ‘নাইট সিফট’-এ কাজের চাপ আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। কিন্তু অতিরিক্ত রাত জাগার ফলে অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি অনেক বেড়ে যায়। বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে গবেষকরা বার বার এই বিষয়টির প্রমাণ দিয়েছেন, সতর্ক করেছেন। বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনের পর দিন রাত জাগার অভ্যাস আয়ু কমিয়ে দেয় খুব দ্রুত। সেই সঙ্গে নানা রকমের শারীরিক সমস্যাও দেখা দেয়।
এক নাগাড়ে চেয়ারে বসে থাকা
ইদানীং প্রায় সব অফিসেই এক নাগাড়ে চেয়ারে বসে কাজ করতে হয় দীর্ঘ ক্ষণ। এক নাগাড়ে বসে থাকার ফলে অনেকেরই ভুঁড়ি বেড়ে যায় খুব দ্রুত। সেই সঙ্গে দেখা দেয় চোখের ও পিঠের নানা সমস্যা। এক নাগাড়ে বেশি ক্ষণ বসে থাকার অভ্যাস শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। এতে হার্টের সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা অনেকটাই বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত মেদ জমার ফলে নানা রকমের স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেয় যা অকালে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় অনেকটাই।
পিরিয়ডের বিলম্ব নিয়ে অবহেলা
অনেক নারীই ঋতুস্রাবের বিলম্ব হওয়ার বিষয়টিকে তেমন একটা গুরুত্ব দেন না। একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পিরিয়ড না হলেও অনেকেই ভাবেন তেমন কোনও সমস্যা হয়নি। কিন্তু পিরিয়ড নিয়মিত হওয়ার অর্থ হল সুস্থতার লক্ষণ। তাই অনিয়মিত পিরিয়ড হলে অবশ্যই চিকিত্সকের কাছে যাওয়া উচিত এবং সমস্যা সবিস্তারে বলা উচিত।