অল্পতেই রেগে যান? এটা কোনও জটিল রোগের লক্ষণ নয়তো, দেখেনিন

কেবল রাগের কারণে খুব ভালো সম্পর্কও অনেক সময় নষ্ট হয়ে যেতে পারে। অনিয়ন্ত্রিত হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বৃদ্ধি করতে পারে। অতিরিক্ত রাগ মানসিক, শারীরিক এবং সামাজিক দিক থেকে অত্যন্ত ক্ষতিকর। তাই যে কোনো পরিস্থিতিতে রাগ হলেও, রাগের বহিঃপ্রকাশ না করে তা নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। কিন্তু রাগ নিয়ন্ত্রণ করবেন কীভাবে?

কথা না বলে চুপ থাকুন: অতিরিক্ত রাগের সময় অনেক ক্ষেত্রেই না চাইতেও অপশব্দের বহিঃপ্রকাশ হতে পারে। যার ফলে পরিস্থিতি আরো খারাপের দিকে গিয়ে সম্পর্কের মধ্যে ভাঙন পর্যন্ত ঘটাতে পারে। তাই অত্যাধিক রাগের অনুভূতি হওয়া মাত্রই কোনো কথা না বলে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকুন। পরিস্থিতি কীভাবে সামলানো যায় সেই বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করুন।

চিন্তা করে কথা বলুন: রাগের বশে এমন কিছু কখনই বলবেন না, যার জন্য আপনাকে পরবর্তী সময়ে অনুশোচনা করতে হয়। কিছু বলার আগে অন্ততপক্ষে একবার, বিপরীত পক্ষের স্থানে নিজেকে রেখে ভেবে দেখুন। অনিয়ন্ত্রিত রাগের বহিঃপ্রকাশ সম্পর্কে ভাঙন ধরাতে পারে।

হাঁটাহাঁটি করুন: হাঁটা রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি শরীরের সমস্ত পেশীকে রিল্যাক্স করে এবং আপনাকে শান্ত করতেও সহায়তা করে। এছাড়াও কীভাবে রাগের পরিস্থিতিতে প্রতিক্রিয়া করা উচিত তা নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতেও সময় দেয়।

গান শুনুন: গানের মাধ্যমে নিজেকে শান্ত করা এবং রাগ নিয়ন্ত্রণ করা একটি অন্যতম জনপ্রিয় উপায়। পছন্দের সুর এবং গান মেজাজ ভালো করে, মনকে রিল্যাক্স করতে সক্ষম। অনেক সময় মনোবিদরা রাগ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে গান শোনার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

এক্সারসাইজ করুন: শারীরিক ক্রিয়াকলাপ স্ট্রেস কমাতে সহায়তা করে যা পরোক্ষভাবে ক্রোধ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক। রাগের অনুভূতি হলেই দ্রুত হাঁটুন কিংবা দৌড়ান অথবা অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করুন।

ক্ষমা করতে শিখুন: ক্ষমা হলো এক ধরনের শক্তিশালী অস্ত্র, যা আপনার নেতিবাচক অনুভূতিকে ইতিবাচক অনুভূতিতে রূপান্তরিত করতে পারে। রাগের কারণে অনেক সময়ই সুসম্পর্কে ভাঙন ধরে তবে ক্ষমা সম্পর্ককে দৃঢ় করে তুলতে সহায়তা করে।

জোরে জোরে হাসুন: মনকে শান্ত করা, খারাপ মেজাজকে ভালো করা এবং রাগ কমানোর একটি সহজ পদ্ধতি হলো হাসি। রাগের অনুভূতি হলেই হাসার উপায় খুঁজুন এবং জোরে জোরে হাসুন। যেমন – বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা, স্ট্যান্ড-আপ কমেডি দেখা, হাসির ভিডিয়ো দেখা, জোকস শোনা বা পড়া কিংবা হাসির কোনো স্মৃতি মনে করা।

বিশ্বস্ত বন্ধুর সঙ্গে কথা বলুন: বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছে তাৎক্ষণিক অনুভূতি প্রকাশ করতে পারেন। আপনার অনুভূতি সম্পর্কে কারুর সঙ্গে কথা বললে মন হালকা হবে। এটি রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। আর সময় বিশেষে বিশ্বস্ত বন্ধুর কাছ থেকে পরিস্থিতি অনুসারে উপযুক্ত পরামর্শও পাওয়া সম্ভব।

কোনো শব্দ পুনরাবৃত্তি করুন: একটি শব্দ বা বাক্যাংশ খুঁজে নিন যা আপনার মনকে শান্ত করতে সক্ষম এবং পুনরায় মনোনিবেশ করতেও সহায়তা করবে। আপনার যদি মন খারাপ কিংবা রাগের অনুভূতি হয় তখন ওই শব্দ কিংবা বাক্যাংশটি বারবার পুনরাবৃত্তি করুন। যেমন- ‘রিল্যাক্স’, ‘সব ঠিক হযে যাবে’, ‘অল ইজ ওয়েল’ কিংবা ‘আউজুবিল্লাহি মিনাশ-শাইতনির রজিম’। দেখবেন রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy