বিয়ে নিয়ে প্রত্যেকের মনেই নানা স্বপ্ন থাকে। জীবনের এই বিশেষ দিনে কেমন করে সাজবেন, তা নিয়েও থাকে দীর্ঘ পরিকল্পনা। দিনক্ষণ পাকা হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই শুরু হয় কেনাকাটার পালা। শাড়ি থেকে গয়না, সবকিছু নিখুঁত করার জন্য কনেরা ব্যস্ত থাকেন। তবে জুতা নিয়ে অনেকেই ততটা চিন্তিত হন না।
বিয়ের জুতা মানেই অনেকের কাছে পাথর, জরি, চুমকির ঝলমলে কারুকার্য। ব্যবহারের ক্ষেত্রে কতটা আরামদায়ক হবে, সে বিষয়ে তেমন গুরুত্ব দেওয়া হয় না। আর এই কারণেই বিয়ের দিন জুতা পরতে গিয়ে অনেক নববধূকেই সমস্যায় পড়তে হয়। কারও পায়ে ব্যথা হয়, আবার কারও পায়ে ফোস্কা পড়ে।
তাই বিয়ের জুতা কিনতে যাওয়ার আগে প্রথমে স্থির করুন আপনি শুধু আরাম চান, নাকি আরামের সঙ্গে ফ্যাশনও চান। দুটোকেই সমান গুরুত্ব দিলে আপনার জন্য সঠিক জুতা খুঁজে পাওয়া সহজ হবে।
বিয়ের জুতার ক্ষেত্রে অনেকেই উঁচু হিলের (হাই হিল) কথা ভাবেন। যদি আপনি হাই হিলে স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন, তাহলে অবশ্যই পরতে পারেন। তবে যাদের এই ধরনের জুতা পরার অভ্যাস নেই, তাদের বিয়ের মতো একটি দীর্ঘ অনুষ্ঠানে হাই হিল পরা উচিত নয়। এতে আপনার কষ্ট হতে পারে এবং হাঁটাচলায় অসুবিধা হতে পারে।
উঁচু হিলে অভ্যস্ত না হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তার পরিবর্তে আপনি সুন্দর ফ্ল্যাট জুতোও বেছে নিতে পারেন। বাজারে বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙের আরামদায়ক ফ্ল্যাট জুতা পাওয়া যায়। একটু সময় নিয়ে বাছাই করলে আরামদায়ক জুতা পরেই আপনি আপনার বিয়ের দিন সেজে উঠতে পারেন।
পাথর, জরি, চুমকির কারুকার্যে ভরা জুতা যদি আপনার পছন্দ না হয়, তবে বিয়ের দিনের জন্য প্রতিদিনের ব্যবহারের সাধারণ জুতাও পরা উচিত নয়। তার চেয়ে বরং বিয়ের রাতের জন্য সোনালি বা রুপোলি রঙের (গোল্ডেন বা সিলভার শেড) জুতা বেছে নিতে পারেন। এগুলো দেখতেও সুন্দর লাগে এবং অনেক ক্ষেত্রে আরামদায়কও হয়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জুতা কেনার আগে ভালো করে ট্রায়াল (পরীক্ষা) দিন। দোকানে দু-চারবার হেঁটে দেখুন পায়ে কোনো রকম অস্বস্তি হচ্ছে কিনা। মনে রাখবেন, ভারী শাড়ি ও গয়নার চাপে এমনিতেই নববধূর কিছুটা অসুবিধা হয়। তার উপর যদি জুতাও আরামদায়ক না হয়, তাহলে নববধূর কষ্টের সীমা থাকবে না। তাই আপনার আরামের কথা মাথায় রেখে সঠিক মাপের এবং আরামদায়ক জুতা নির্বাচন করাই বুদ্ধিমানের কাজ।