হাড় মজবুত করার জন্য রইলো সেই তালিকা

শরীরের সুস্থতায় ভিটামিন এবং অন্যান্য খনিজ উপাদানের বিকল্প আর কিছুই নেই। আর এসব খনিজ উপাদান পাওয়ার প্রধান উৎস খাবার। তবে আমাদের বলতে গেলে সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের অবদান অনেক। এই দুটি উপাদানই আমাদের হাড়-কে সুস্থ, সবল ও শক্তিশালী রাখতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

সূর্য থেকে ভিটামিন ডি উৎপাদিত হয় এবং ক্যালসিয়াম মূলত আমাদের খাদ্যের উপর নির্ভর করে। হাড় ও দাঁতের স্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য গুরুত্বপূর্ণ এই ভিটামিন। এছাড়া অতিরিক্ত ওজন কমাতেও সাহায্য করে। তাই হাড়ের বিভিন্ন রোগ ও অস্টিওপোরোসিসের সমস্যা দূর করতে ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

চলুন জেনে নেয়া যাক হাড় মজবুত ও সুস্থ রাখতে কোন কোন খাবার খেতে পারেন-

ফ্যাটি ফিস: ফ্যাটযুক্ত মাছ যেমন – স্যালমন, ট্রাউট এবং টুনা ভিটামিন ডি এবং ক্যালসিয়ামের দুর্দান্ত উৎস। এছাড়াও এগুলো অত্যন্ত স্বাস্থ্যকর এবং পুষ্টিকর। এটি আমাদের হাড়কে শক্তিশালী রাখে।

দুধ : দুধ এবং অন্যান্য দুগ্ধজাত পণ্য যেমন- ঘি, চিজ, পনির খাবারের তালিকায় রাখুন। এগুলো আমাদের হাড়কে মজবুত করে। বিশেষত দুধ হাড়ের ঘনত্ব বাড়াতে অনেক সহায়তা করে।

সবুজ শাকসবজি : বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে, সবুজ শাকসবজি পুষ্টির দুর্দান্ত উৎস। এগুলো আমাদের হাড়কে শক্তিশালী রাখে। সয়া দুধ বা টফু সয়া দুধ, টফু বা অন্যান্য সয়া জাতীয় খাদ্য হাড়ের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এগুলো ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ।

ডিমের কুসুম : ডিম প্রোটিনের একটি দুর্দান্ত উৎস। বিশেষত ডিমের সাদা অংশটি। অনেকে মনে করেন বয়স ৩০ এর কোঠা পার হলে ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত নয়। তবে জানেন কি? ডিমের কুসুমে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি থাকে। যা আপনার শরীরের এই খনিজ উপাদানের ঘাটতি এবং হাড় মজবুত ও শক্তিশালী করবে। তাই সবারই অবশ্যই ডিমের কুসুম খাওয়া উচিত।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy