মাছ খেতে বসে গলায় কাঁটা বিঁধে গিয়েছে? ঘরোয়া এই ৮ উপায়েই মিলবে মুক্তি! দেরি না করে জেনেনিন

মাছ ভালোবাসেন অথচ খেতে বসে গলায় কাঁটা ফোটেনি, এমন বাঙালি খুঁজে পাওয়া দুষ্কর! অনেকেই আছেন যারা তাড়াহুড়ো করে খান বা কথা বলতে বলতে খাবার গ্রহণ করেন, আর অসাবধানতাবশত গলায় বিঁধে যায় মাছের কাঁটা। তারপর শুরু হয় অস্বস্তি আর খচখচানি। তবে চিন্তা নেই! নিমেষে এই অস্বস্তি কাটানোর জন্য রইল ৮টি সহজ ঘরোয়া উপায়:

১. কোক: বাড়িতে কোক জাতীয় পানীয় থাকলে সেটি ব্যবহার করতে পারেন। এটি গলায় বিঁধে থাকা কাঁটা নামানোর অন্যতম আধুনিক পদ্ধতি হিসেবে বিবেচিত হয়। গলায় কাঁটা ফুটলে এক নিঃশ্বাসে যতটা সম্ভব কোক খেয়ে নিন। কোকের অ্যাসিড কাঁটাকে নরম করে গলা থেকে নামিয়ে দেবে।

২. অলিভ অয়েল: তেল একটি পিচ্ছিল পদার্থ এবং অলিভ অয়েল কাঁচা খেলেও কোনো ক্ষতি নেই। তাই বাড়িতে যদি অলিভ অয়েল থাকে, তাহলে এক চামচ খেয়ে নিন। তেল কাঁটাকে পিচ্ছিল করে গলা থেকে নিচে নামিয়ে দেবে।

৩. পাতি লেবু: পাতি লেবু খুব দ্রুত মাছের কাঁটাকে নরম করে তুলতে পারে। গলায় কাঁটা ফুটলে একটি লেবু কেটে সামান্য নুন মাখিয়ে রস চুষে খান। কাঁটা নরম হয়ে সহজেই গলা দিয়ে নেমে যাবে।

৪. কলা: কলা একটি পিচ্ছিল খাবার। তাই গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে সঙ্গে সঙ্গে একটি কলা খেয়ে নিন। কখন যে কাঁটা গলা থেকে নেমে যাবে, আপনি টেরই পাবেন না।

৫. ভিনিগার: ভিনিগারও গলায় আটকে থাকা মাছের কাঁটা নামাতে দারুণ কাজ করে। সামান্য ভিনিগার জলের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কাঁটা খুব সহজে নেমে যায়। এটি অনেকটা পাতি লেবুর মতোই কাজ করে।

৬. হোমিওপ্যাথি ওষুধ (সাইলেশিয়া): বাড়িতে এক শিশি সাইলেশিয়া রাখুন। এই হোমিওপ্যাথি ওষুধটি গলায় ফুটে থাকা মাছের কাঁটা, বিশেষ করে কই মাছের মতো শক্ত কাঁটা গলিয়ে আপনাকে যন্ত্রণামুক্ত করতে পারে।

৭. সাদা ভাত: সাদা শুকনো ভাতের ছোট ছোট বল তৈরি করুন এবং চটজলদি জল দিয়ে গিলে ফেলুন। মনে রাখবেন, শুধু সাদা ভাত খেলে কিন্তু জেদি কাঁটা নামানো কঠিন। ছোট বল তৈরি করে দ্রুত গিলে ফেলাই এক্ষেত্রে কার্যকর।

৮. জল (হালকা গরম লবণ জল): যদি উপরের কোনো উপাদানই হাতের কাছে না থাকে, তাহলে প্রচুর পরিমাণে জল খেয়ে গলা থেকে কাঁটা নামানোর চেষ্টা করুন। তবে হালকা গরম জলে সামান্য নুন মিশিয়ে খেলে কাঁটা নরম হয়ে তাড়াতাড়ি গলা থেকে নেমে যাবে এবং আপনি দ্রুত কাঁটা ফোটার যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাবেন।

গলায় কাঁটা ফুটলে আতঙ্কিত না হয়ে এই ঘরোয়া উপায়গুলো চেষ্টা করতে পারেন। তবে কাঁটা যদি বেশি গভীরে আটকে যায় বা অস্বস্তি না কমে, তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy