গর্ভধারণ ছাড়াও অন্য আরো কিছু কারণে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে : গবেষণা

পিরিয়ড(Period) নারীদেহের একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। সাধারণত ২৮ দিন পর পর Period হয়ে থাকে। কিন্তু কখনো কখনো এই সময়টাতে হেরফের হতে পারে। কখনো এক সপ্তাহ পরে হতে পারে পিরিয়ড(Period)। আবার মাঝে মাঝে একমাস কিংবা আরো বেশি সময় পরও হতে পারে। নির্ধারিত সময়ে যদি পিরিয়ড না হয় তাহলে অনেক নারীই দুশ্চিন্তায়(Anxious) থাকেন। বিশেষ করে বিবাহিত নারীরা ঘাবড়ে যান অনাকাঙ্ক্ষিত গর্ভধারণ(Pregnancy) করে ফেলেছেন ভেবে। গর্ভধারণ ছাড়াও অন্য আরো কিছু কারণে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে।
হঠাৎ ওজন কমে যাওয়া বা অতিরিক্ত ব্যায়াম
খুব কঠিন ডায়েট(Diet) করলে কিংবা কোনো কারণে হঠাৎ করেই অস্বাভাবিক ওজন(Weight) কমে গেলে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। অতিরিক্ত ব্যায়ামের কারণেও Period বিলম্বিত হতে পারে। বিএমআই যদি ১৮/১৯ এর নিচে হঠাৎ করে নেমে যায় তাহলে পিরিয়ড বিলম্বে হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

থাইরয়েড হরমোনের ভারসাম্যহীনতা
আমাদের গলার নিচে যেই থাইরয়েড(Thyroid) গ্রন্থি থাকে সেটা শরীরের সকল কার্যপ্রক্রিয়াকে স্বাভাবিক রাখতে সহায়তা করে। থাইরয়েড গ্রন্থি থেকে যদি স্বাভাবিকের চাইতে বেশি কিংবা কম থাইরয়েড হরমোন(Hormones) নিঃসৃত হয় তাহলে শরীরের পুরো কার্যপ্রক্রিয়ায় তার প্রভাব পড়ে এবং এক্ষেত্রে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে।

পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম
পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম একটি হরমোনাল সমস্যা। শরীরের জরুরি তিনটি হরমোন(Hormone) এস্ট্রোজেন, প্রোজেস্টেরন এবং টেসটোস্টেরন উৎপাদনের মাত্রা কমে যায় পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম হলে। ফলে পিরিয়ডে(Period) বিলম্ব হয়। পলিসিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোমে নারীদের মুখে এবং স্তনের চারিদিকে লোমের আধিক্য বেড়ে যেতে পারে। এই সমস্যায় যত দ্রুত সম্ভব ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত।

অতিরিক্ত মানসিক চাপ
হঠাৎ অতিরিক্ত মানসিক চাপ(Stress) তৈরি হলে পিরিয়ডে বিলম্ব হতে পারে। হঠাৎ করে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়লে হাইপোথ্যালামিক অ্যামেনোরিয়া হতে পারে। ফলে হরমোনের স্বাভাবিক কার্যপ্রক্রিয়া ব্যাহত হয়ে পিরিয়ডে(Period) বিলম্ব হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। প্রিয়জনের বিয়োগ, ব্রেকআপ(Breakup), পরীক্ষায় অকৃতকার্য হওয়া কিংবা অন্য কোনো বড় ধরণের মানসিক আঘাতের ফলে এই সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy