আবহাওয়ার যা অবস্থা, তাতে ঘরে-বাইরে দস্তুরমতো নাজেহাল অবস্থা সবার। এই পরিস্থিতিতে মাথা ধরাটাই তো স্বাভাবিক! কিন্তু মুশকিল হচ্ছে, আমরা সারাক্ষণ এত কাজের মধ্যে থাকতে বাধ্য হই যে শরীরে কষ্ট হলেও দিনের মাঝখানে বিশ্রাম নেওয়ার অবকাশটুকুও মেলে না। এই পরিস্থিতিতে আপনাকে আরাম দিতে পারে, এমন কয়েকটি ঘরোয়া সমাধান নিয়ে হাজির হয়েছি আমরা। একান্ত বাধ্য হলে ওষুধ তো খেতেই হবে, কিন্তু তার আগে এগুলি ট্রাই করে দেখতে পারেন। প্রতিটি নিরাময়ই প্রাকৃতিক, তাই পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা কার্যত শূন্য।
আরামদায়ক ম্যাসাজ খুব কাজে দেয়: কেউ আপনার রগের দুটো পাশ বা ঘাড়ের কাছটা যদি খানিকক্ষণের জন্য ম্যাসাজ করে দিতে পারেন, তা হলে তো খুবই ভালো হয়। তা সম্ভব না হলে নিজেই ম্যাসাজ করুন। অনেক সময় স্ট্রেস বা ক্লান্তির কারণেও মাথা ধরে, সে ক্ষেত্রে এই ম্যাসাজ খুব কাজে দেবে। বুড়ো আঙুল আর তর্জনীর ব্যবহার করুন ম্যাসাজ করার সময়, যতক্ষণ না ব্যথা কমছে বৃত্তাকার ম্যাসাজ চালিয়ে যান। বলা হয় যে মাথা ধরার উৎপত্তি হয় আমাদের ব্রেনে। এই ধরনের প্রেশার ব্যথার উৎপত্তিস্থলে গিয়ে কাজ করে।
ঘরের বাতি নিভিয়ে বা কমিয়ে দিন: মাথা ব্যথায় ভুগলে কম আলোয় থাকুন অন্তত খানিকক্ষণের জন্য। দূরে সরে যান কম্পিউটার স্ক্রিন, ল্যাপটপ বা মোবাইল ফোনের আলোর বিচ্ছুরণ থেকে। এই সময় একান্ত বাইরে বেরোতে হলে খুব ভালো মানের অ্যান্টি গ্লেয়ার রোদচশমা পরুন।
গরম/ ঠান্ডা সেঁক ট্রাই করে দেখতে পারেন: গরমজলে পা ডুবিয়ে রাখলে যে মাথাব্যথা কমে, এ তথ্য অনেকেই বিশ্বাস করতে চাইবেন না। কিন্তু যুক্তিটা হল, পায়ে বাড়তি উত্তাপের সঞ্চার হলে সেখানে রক্ত ছুটে যায়। ফলে আপনার মস্তিষ্কের রক্তনালীর উপর প্রেশার কমে যায়, কমে মাথাব্যথাও। কপালে আর ঘাড়ে গরম সেঁক দিলে অনেকে আরাম বোধ করেন। কারও কারও ক্ষেত্রে কাজে দেয় ঠান্ডা সেঁক। হাত বরফজলে ডুবিয়ে রাখলেও একই ফল পাবেন। ঠান্ডায় রক্তনালীগুলি সঙ্কুচিত হয়ে আপনাকে আরাম দেবে।
কাজে দেয় এসেনশিয়াল অয়েল: কপালে আর রগে এসেনশিয়াল অয়েল, বিশেষ করে ল্যাভেন্ডারের মতো কোনও সুগন্ধি দিয়ে ম্যাসাজ করে দেখতে পারেন। পিপারমিন্ট অয়েলও মাথাব্যথা কমাতে কার্যকর। অফিসে থাকলে রুমালে এসেনশিয়াল অয়েল নিয়ে ইনহেল করে দেখতে পারেন।
চা/ কফি/ আদা খেয়ে দেখুন: চা বা কফিতে উপস্থিত ক্যাফেইন মাথাব্যথা কমাতে দারুণ কাজে দেয়। তবে যাঁরা খুব ঘন-ঘন কড়া চা-কফি খেতে অভ্যস্ত, তাঁরা এতে তেমন সুবিধে পাবেন না। আদা আর লবঙ্গ দিয়ে কড়া করে কালো চা তৈরি করে খেলেও অনেকে আরাম পান।