ঝকঝকে ও প্রাণখোলা হাসি শুধু মন ভালো করে না, এর রয়েছে একাধিক স্বাস্থ্য উপকারিতা। সম্প্রতি ‘ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ওবেসিটি’-তে প্রকাশিত এক গবেষণা পত্রে এক চাঞ্চল্যকর দাবি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, নিয়মিত প্রাণখোলা হাসি স্থূলতার মতো সমস্যার মোকাবিলা করতে সহায়ক হতে পারে। শুধু তাই নয়, গবেষকরা হাসিকেই শ্রেষ্ঠ ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক হাসির আরও কিছু অভাবনীয় উপকারিতা:
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সহায়ক:
যারা হৃদরোগে ভুগছেন, তাদের জন্য নিয়মিত হাসি অত্যন্ত জরুরি। গবেষণা বলছে, যারা প্রাণখুলে হাসেন তাদের হৃদরোগের ঝুঁকি অন্যদের তুলনায় অনেক কম। হাসি রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে:
হাসি আমাদের অজান্তেই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। হাসির ফলে শরীরে ‘টি-সেল’-এর পরিমাণ বৃদ্ধি পায়। এই টি-সেলই শরীরকে বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বাড়তি শক্তি যোগায়।
আয়ু বৃদ্ধি করে:
বিভিন্ন গবেষণা থেকে জানা যায়, হাসিখুশি মানুষের আয়ু অন্যদের তুলনায় বেশি হয়। হাসি ক্লান্তি দূর করে এবং জীবনের প্রতি আনন্দ ও ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধি করে, যা দীর্ঘ ও সুস্থ জীবন যাপনে সহায়ক।
ওজন কমাতে সাহায্য করে:
যারা ওজন কমাতে চান তাদের জন্য হাসি এক দারুণ প্রাকৃতিক উপায় হতে পারে। গবেষণা বলছে, প্রাণ খুলে হাসলে শরীরে মেটাবলিজম বাড়ে, যা এক মাইল হাঁটার সমান কাজ করতে পারে। এর ফলে শরীর থেকে অতিরিক্ত ক্যালরি ক্ষয় হয় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে।
ক্যালরি ক্ষয় হয়:
বিশ্বাস করুন বা না করুন, দিনে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মিনিট প্রাণ খুলে হাসলেই পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালরি ক্ষয় হতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এবং সুস্থ থাকতে আপনার দৈনন্দিন জীবনে হাসিকে অপরিহার্য করে তুলুন।
সুতরাং, মন খারাপ করে বসে না থেকে প্রাণখুলে হাসুন। হাসি কেবল আপনার মনকেই প্রফুল্ল রাখবে না, বরং আপনার শরীরকেও সুস্থ ও রোগমুক্ত রাখতে সহায়ক হবে। হাসিই সত্যিই শ্রেষ্ঠ ওষুধ!