হার্ট অ্যাটাকের ভয় পাচ্ছেন? যখন-তখন হতে পারে এই সমস্যা সাবধান

হৃদরোগ সংক্রান্ত ভয় কম-বেশি সকলকেই তাড়া করে বেড়াচ্ছে। অনিয়ন্ত্রিত খাদ্যাভ্যাস, ব্যস্ত জীবনযাত্রা, শরীরচর্চায় ফাঁকি— নানা কারণেই হৃদরোগের সম্ভাবনা যখন-তখন ধেয়ে আসতে পারে। আমাদের নানা ভুল সিদ্ধান্ত ও অজ্ঞতা এই অসুখের মূল কারণ।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এমন কিছু সাবধানতা মেনে চললে সহজেই এই অসুখ থেকে দূরে থাকা সম্ভব। আমাদের দেশে প্রায় ২৫ শতাংশ মানুষ হাইপারটেনশনের শিকার, ডায়াবিটিসও এই অসুখের অন্যতম কারণ। এ সব নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি নিয়মিত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ওষুধের পাশাপাশি সাবধানতাও অবলম্বন করা জরুরি। এ ছাড়াও মেনে চলতে হবে কিছু নিয়ম। দেখে নিন সে সব কী কী-

১. কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করুন

হৃদরোগ ঠেকাতে নজর রাখুন কোলেস্টেরলের দিকে। অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাপনে শরীরে বাসা বাঁধে অতিরিক্ত কোলেস্টেরল। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়৷ তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে এই কোলেস্টেরলও দায়ী। প্রতি দিনের খাবার থেকেও সামান্য পরিমাণ কোলেস্টেরল শরীর পায়। ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় কোলেস্টেরলের যতটা প্রয়োজন, ততটা স্বাভাবিক ভাবেই তৈরি হয়ে যায়৷ তাই অনিয়মের হাত ধরে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়লে তা ঝুঁকির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। হৃদরোগের অন্যতম কারণ হিসেবে এই কোলেস্টেরলও দায়ী।

২. ব্লাড প্রেশার নিয়ন্ত্রণে রাখুন

ব্লাড প্রেশার বাড়লে নির্দিষ্ট কোনও উপসর্গ থাকে না। কখনও কারোর মাথা ব্যথা করে, হঠাৎ মাথা টলে যেতে পারে, কখনও দুর্বল লাগে, সামান্য পরিশ্রমে শ্বাসের কষ্ট ও বুক ধড়ফড় করে। আবার নিজে থেকে তা ঠিকও হয়ে যায়। বেশির ভাগ মানুষই এই ধরণের উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যেতে চান না। তাই অসুখটা চট করে ধরা পড়ে না। কিন্তু লাগাতার এই ভাবে অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ নিয়ে জীবনযাপন করলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ একে একে বিকল হতে শুরু করে। আমাদের দেশে হার্ট অ্যাটাকের অন্যতম কারণ অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ। আচমকা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ অর্থাৎ স্ট্রোকের জন্যেও দায়ী ব্লাড প্রেশার। এছাড়া লাগাতার হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে কিডনি বিকল ও চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে।

৩. ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণ করুন

ডায়াবিটিসের রোগীদের বরাবরই হার্টের রোগের ঝুঁকি বেশি। সম্প্রতি একটি সমীক্ষায় ধরা পড়েছে, টাইপ ২ ডায়াবিটিস, যাঁদের ব্লাড সুগার অসম্ভব পরিমাণে ওঠানামা করে, তাঁদের হৃদরোগের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। ব্লাড সুগার ওঠানামায় ভুগছেন তাঁরা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে একেবারেই খাদের কিনারায়। তাই সচেতন হওয়ার প্রয়োজন তাঁদের অনেক অনেক বেশি। এবং যাঁদের অন্তত ২-৩ মাস ব্লাড সুগার মোটামুটি একই রকম তাঁরা অনেকটাই নিশ্চিন্ত এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ক্ষেত্রে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy