আমরা সাধারণত দুপুর ও রাতে ভারী খাবার খেয়ে থাকি, যা থেকে শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি পায়। কিন্তু কিছু বাজে অভ্যাসের কারণে এই পুষ্টির ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এবং শরীরে নানা ধরনের জটিলতা দেখা দিতে পারে। তাই খাবারের পর কিছু বিষয় মেনে চলা জরুরি। এই অভ্যাসগুলো এড়িয়ে চললে যেমন পুষ্টির ভারসাম্য ঠিক থাকবে, তেমনি শরীরও সুস্থ থাকবে।
খাবারের পর যে ৭টি অভ্যাস এড়িয়ে চলবেন:
ভারী খাবারের পর ফল খাওয়া যাবে না: খাবারের ঠিক পরেই ফল খেলে পেটে অ্যাসিডের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে, যা হজমের সমস্যা তৈরি করে। তাই খাবার খাওয়ার পর কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন, তারপর ফল খান। এতে শরীর সুস্থ থাকবে এবং পুষ্টি সঠিকভাবে শোষিত হবে।
আহারের পর শোয়া উচিত নয়: খাওয়ার পরেই শুয়ে পড়লে শরীরে মেদ জমে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে ধীর করে দেয় এবং দীর্ঘমেয়াদে স্থূলতাসহ বিভিন্ন শারীরিক সমস্যার কারণ হতে পারে। খাবার খাওয়ার পর অন্তত ২-৩ ঘণ্টা হাঁটাচলা বা বসে থাকা ভালো।
খাওয়ার পর স্নান করা যাবে না: খাবার খাওয়ার পর স্নান করলে শরীরে রক্তের চাপ বেড়ে যেতে পারে। এর ফলে পাকস্থলীর হজমক্ষমতা কমে যায়, কারণ রক্তপ্রবাহ হজম অঙ্গ থেকে ত্বকের দিকে চলে যায়।
খাবারের পর ধূমপান করা উচিত নয়: দিনের অন্যান্য সময়ে ধূমপান করলে যে পরিমাণ ক্ষতি হয়, খাবার খাওয়ার পর এর ক্ষতির মাত্রা দ্বিগুণ হয়ে যায়। এটি হজম প্রক্রিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলে এবং স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ।
খাওয়ার পরে ব্যায়াম করা ঠিক নয়: ভারী খাবারের পরেই ব্যায়াম করলে শরীরের ওপর অতিরিক্ত চাপ পড়ে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। এতে হজম প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে পারে এবং বমি বমি ভাব বা পেটে ব্যথা হতে পারে। খাওয়ার পর অন্তত ১-২ ঘণ্টা বিশ্রাম নিয়ে তারপর ব্যায়াম শুরু করুন।
খাওয়ার পরেও চা পান করা উচিত নয়: আমরা সবাই জানি খালি পেটে চা পান করা ঠিক নয়। একইভাবে, খাবারের ঠিক পরেও চা পান করা উচিত নয়। চায়ে থাকা ট্যানিন খাবারের পুষ্টি, বিশেষ করে আয়রন শোষণে বাধা দিতে পারে। তাই অন্তত আধঘণ্টা পর চা খেতে পারেন।
খাওয়ার পরেই বই পড়া উচিত নয়: খাবার খাওয়ার পর তা হজম হওয়ার জন্য পেটে রক্তপ্রবাহ বেড়ে যায়। কিন্তু এই সময় বই পড়া শুরু করলে রক্তপ্রবাহ পেটের দিকে না গিয়ে কিছুটা চোখ ও মস্তিষ্কের দিকে যেতে শুরু করে। ফলে খাবার ঠিকমতো হজম হয় না এবং দীর্ঘমেয়াদে হজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
