মাছের মাথা দিয়ে অতিথি আপ্যায়নের রীতি আমাদের পুরনো। আবার বড় মাছ রান্না হলে মাথা কে খাবে তা নিয়েও বাড়িতে কাড়াকাড়ি চলে। অনেকে মনে করেন মাছের মাথা খেলে বুদ্ধি বাড়ে। আসলেই কি তাই? মাছের মাথার রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। মাছের এই অংশ নিয়মিত খেলে মিলবে অনেক উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক-
প্রোটিনে ভরপুর
মাছের মাথার অয়ে থাকে পর্যাপ্ত প্রোটিন। এই প্রোটিন শরীর খুব সহজেই গ্রহণ করে নেয়। আমাদের বেশিরভাগের মধ্যে প্রোটিনের ঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যা দূর করতে মাছের মাথা পাতে রাখুন। এতে থাকা প্রোটিন শরীরে ঘাটতি মেটাবে। পেশি তৈরি থেকে শুরু করে কোষের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধিতে কার্যকরী এই প্রোটিন। তাই নিয়মিত মাছের মাথা খাওয়ার অভ্যাস করুন।
দৃষ্টিশক্তি ভালো রাখে
চোখ ভালো রাখতে নিয়মিত মাছের মাথা খাওয়ার অভ্যাস করুন। দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে দুগ্ধজাত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি মাছের মাথাও খেতে হবে। এতে চোখের বয়সজনিত ক্ষতি দূর হবে এবং রেটিনাও ভালো থাকবে। ফলে চোখের বিভিন্ন অসুখ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। চোখের মাইনাস পাওয়ার বৃদ্ধিজনিত সমস্যা দূর করতেও নিয়মিত মাছের মাথা খেতে পারেন।
ছোট মাছে উপকার বেশি
বড় মাছের মাথায় ফ্যাট বেশি থাকে। এই ফ্যাট ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বা ব্লাড প্রেশারের রোগীর জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই বড় মাছের মাথা যতটা সম্ভব কম খেয়ে ছোট মাছের মাথা খান। এ জাতীয় মাছের মাথায় খুব বেশি ফ্যাট থাকে না। তাই উপকারিতা বেশি পাওয়া যায়।
মস্তিষ্কের জন্য উপকারী
ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ মাছের মাথা খেলে তা শরীরের একাধিক উপকার করে। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষার কাজে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যুক্ত খাবার খেলে বুদ্ধি ও স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি পায়। তাই মাছের মাথা খেলে বুদ্ধি বাড়ে একথাটি একেবারেও মিথ্যা নয়।