ফিটনেস সচেতন মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। অনেকেই ছিপছিপে ও পেশিবহুল চেহারার স্বপ্ন পূরণ করতে নিয়মিত জিমে যান এবং দ্রুত ফল পেতে বিভিন্ন প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করেন। জিমগুলোও ব্যবসায়িক স্বার্থে এই প্রোটিন পাউডার বিক্রি করতে আগ্রহী। তবে চিকিৎসকদের মতে, এই ধরনের প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট শরীরের জন্য সবসময় উপকারী নয়, বরং এতে মারাত্মক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হতে পারে।
প্রোটিন পাউডার ও পুরুষদের বন্ধ্যাত্ব
গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, পুরুষদের মধ্যে বন্ধ্যাত্বের সমস্যা বাড়ছে, যার অন্যতম কারণ আমাদের অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রা এবং ভুল খাদ্যাভ্যাস। চিকিৎসকদের মতে, বডি বিল্ডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত অনেক প্রোটিন পাউডারে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড থাকে, যা স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ব্যাহত করে। এর ফলে বীর্য উৎপাদন কমে যেতে পারে এবং পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত
প্রজনন বিশেষজ্ঞ মৌমিতা নাহা জানান, “বডি বিল্ডিংয়ের জন্য ব্যবহৃত কিছু প্রোটিন পাউডারে অ্যানাবলিক স্টেরয়েড থাকতে পারে, যা শরীরের প্রাকৃতিক টেস্টোস্টেরন উৎপাদন ক্ষমতাকে নষ্ট করে দেয়। এর ফলে বীর্য উৎপাদন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হয় এবং এটি খুবই ক্ষতিকর হতে পারে।”
তিনি আরও জানান, “যদি কেউ অ্যানাবলিক স্টেরয়েডযুক্ত প্রোটিন পাউডার গ্রহণ করা বন্ধও করে দেন, তবুও শরীরের স্বাভাবিক টেস্টোস্টেরন লেভেল ফিরে আসতে ২-৩ বছর পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই বীর্য উৎপাদন স্বাভাবিক হতে দীর্ঘ সময় লাগে।”
কেন সচেতন হওয়া জরুরি?
💠 দ্রুত পেশিবহুল চেহারার লোভে ভুল সিদ্ধান্ত না নিন।
💠 চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো প্রোটিন সাপ্লিমেন্ট গ্রহণ করবেন না।
💠 খাদ্যাভ্যাস ও প্রাকৃতিক উপায়ে পেশি গঠন করাই সবচেয়ে নিরাপদ উপায়।
সুস্থ ও শক্তিশালী শরীর গঠনের জন্য সঠিক খাদ্য ও নিয়মিত ব্যায়ামের বিকল্প নেই। তাই শরীরের দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি না করে, সুস্থ থাকার জন্য সঠিক উপায় বেছে নেওয়া জরুরি। 🚨