কিডনিতে পাথর জমার সমস্যায় নারী ও পুরুষ উভয়েই ভুগতে পারেন। তবে অবাক করা বিষয় হলো, সমীক্ষায় দেখা গেছে পুরুষেরাই এই সমস্যায় বেশি আক্রান্ত হন। প্রতি দশজনে একজনের কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকি থাকে, যেখানে ১১ শতাংশ পুরুষ এবং ৯ শতাংশ নারী এই সমস্যায় ভোগেন। কিন্তু কেন নারীদের তুলনায় পুরুষদের কিডনিতে পাথর জমার প্রবণতা বেশি?
তবে সেই কারণ জানার আগে, আসুন প্রথমে জেনে নিই কিডনিতে পাথর কেন জমে:
কিডনিতে পাথর মূলত ক্যালসিয়াম জমে তৈরি হয়। ক্যালসিয়াম অক্সালেট সমৃদ্ধ খাবার বেশি খেলে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে। খেজুর, বেরি, কামরাঙার মতো ফল এবং পালং শাক ও বিটের মতো সবজিতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম অক্সালেট থাকে। তাই এই খাবারগুলো পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।
এছাড়াও, পর্যাপ্ত জল পান না করলেও কিডনিতে পাথর জমতে পারে। জল কিডনি থেকে ক্যালসিয়াম অক্সালেট বের করে দিতে সহায়ক। কম জল পান করলে এই সমস্যা আরও বাড়তে পারে। মদ্যপান এবং অতিরিক্ত লবণ ও মসলাযুক্ত খাবার দীর্ঘদিন ধরে খেলে কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়ে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন নারীদের তুলনায় পুরুষদের কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বেশি? বিজ্ঞানীরা এর প্রধান কারণ হিসেবে কম জল পান করাকে দায়ী করছেন। পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পুরুষরা সাধারণত নারীদের তুলনায় কম জল পান করেন। এর ফলে পুরুষরা ডিহাইড্রেশনে বেশি ভোগেন এবং তাদের কিডনিতে পাথর জমার সম্ভাবনা বেড়ে যায়।
বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, মদ্যপান এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবনযাত্রার ক্ষেত্রেও পুরুষরা নারীদের তুলনায় কিছুটা এগিয়ে থাকেন। এই কারণগুলোও পুরুষদের কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে। তাই কিডনিতে পাথর জমার ঝুঁকি কমাতে পর্যাপ্ত জল পান করা এবং একটি স্বাস্থ্যকর জীবনধারা বজায় রাখা অত্যন্ত জরুরি।