দাদ স্কিনের একটি ফাংগাল ইনফেকশন। অনেকেই এই সমস্যায় ভোগেন। এর জন্য সাধারণত বাইরের বিভিন্ন প্রোডাক্ট ব্যবহার করেন অনেকে। কিন্তু অনেক সময় এগুলিতেও তেমন ভালো কাজ দেয় না। কিছু প্রাকৃতিক উপাদান আছে যা এই সমস্যার সমাধানে বেশ উপকারী। দেখে নিন।
• তুলসীঃ তুলসী অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসাবে কাজ করে। তাই দাদের মতো এসব সমস্যা স্কিনে ছড়িয়ে পড়তে দেয় না। এবং সমস্যা সারিয়ে তোলে নিমেষেই। কিচ্ছু না, জাস্ট তুলসীর রস করে ক্ষতের জায়গায় লাগান।
পদ্ধতিঃ ১০ থেকে ১২ টি তুলসীপাতা নিয়ে রস করুন। এবার এটি দাদের জায়গায় লাগিয়ে রাখুন এক ঘণ্টা। দিনে দুবার করে করুন এটি।
• হলুদঃ আমরা জানি হলুদ অ্যান্টিসেপটিক হিসাবে কাজ করে। তাই এই সমস্যার ক্ষেত্রেও হলুদ দারুণ উপকারী।
পদ্ধতিঃ কাঁচা হলুদের রস করুন। এটি ক্ষতের জায়গায় লাগান। বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে কয়েকবার লাগাতে পারেন। কাজ হবে।
• অ্যালোভেরাঃ রূপচর্চায় অ্যালোভেরার ব্যবহার তো সবাই জানেন। কিন্তু স্কিনের ইনফেকশন সারাতেও এটা সমান উপকারী এটা কি জানেন? অ্যালোভেরা দাদের চুলকানি, জ্বালা কমাতে বেশ সাহায্য করে।
পদ্ধতিঃ অ্যালোভেরা গাছের পাতা থেকে ফ্রেশ অ্যালোভেরা জেল বার করে নিন। এবার এটি দাদের জায়গায় লাগান। বেশ কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে দু’বার করে করুন এটি।
• রসুনঃ রসুন অ্যান্টি-ফাঙ্গাল হিসাবে কাজ করে। যা দাদের মত স্কিনের অন্যান্য ইনফেকশন দূর করতেও বেশ উপকারী।
পদ্ধতিঃ ২ থেকে ৩ কোয়া রসুন ব্লেণ্ড করে নিন। এটি সরাসরি দাদের জায়গায় লাগান। একঘণ্টা মত লাগিয়ে রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। এছাড়াও রসুনের সাথে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ অলিভ তেল মিশিয়েও একইভাবে লাগাতে পারেন।
• নারকেল তেলঃ এটা আমরা অনেকেই জানি না, বাড়িতে থাকা এই সহজ উপাদানটি দাদের সমস্যার ক্ষেত্রে কত উপকারী। নারকেল তেলে একপ্রকার অ্যাসিড থাকে, যা এই সমস্যার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে মেরে ফেলে। এবং দাদ সারিয়ে তোলে।
পদ্ধতিঃ জাস্ট নারকেল ওই দাদের জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে দু’বার করে করতে থাকুন যতদিন না কমে।
• টি ট্রি অয়েলঃ টি ট্রি অয়েলে রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল গুণাগুণ। যা এইসব ইনফেকশনের জন্য দায়ী ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়াকে নির্মূল করে। তাই বিভিন্ন স্কিন ইনফেকশনের ক্ষেত্রে বেশ উপকারী।
পদ্ধতিঃ টি ট্রি অয়েল ওই জায়গায় কিছুক্ষণ লাগিয়ে রাখুন। দিনে দু থেকে তিনবার লাগান। উপকার পাবেন।
দাদের সমস্যার জন্য অনেক তো বাইরের উপাদান ব্যবহার করলেন। এবার এই উপাদানগুলো ব্যবহার করে দেখুনই না! নিয়মিত ব্যবহার করলে নিরাশ হবেন না।