কথায় কথায় গালি বেরিয়ে আসে, আসলে তারা কেমন মানুষ? আপনি কী জানতে চান?

রাগ সবারই থাকে। তবে সবাই সেই রাগ সংবরণ করতে পারেন না। মাথা গরম করে মুখে যা আসে তাই বলে ফেলেন। রাগের মাথা গালি দেওয়া লোকের সংখ্যা কম নয়। এ ধরনের মানুষকে সামনে অনেকে ভয় করলেও পেছনে চলে সমালোচনা। অনেকেই তাদের ভালো চোখে দেখেন না। মন্দ মানুষের উদাহরণ দিতে হলে তাদের নাম বলেন। কিন্তু আসলে তারা কেমন মানুষ? জেনে নিন গবেষণা কী বলছে-

সম্প্রতি গালির সঙ্গে মনের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেছেন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যা বিভাগের কয়েকজন গবেষক । তাদের বলছেন, যারা বেশি গালি দিয়ে থাকেন, তারা মূলত মানসিক চাপ কমানোর জন্যেই এই কাজ করেন। গালি দেওয়ার এই স্বভাবের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে মনের গভীরে থাকা নানা সমস্যার।

গবেষণায় জানা গেছে, অবসাদ, মানসিক চাপ, অতিরিক্ত উত্তেজনা কমানোর জন্য গালি কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এই কথার সঙ্গে একমত ব্রিটিশ গবেষক এবং মনোবিজ্ঞানীদের অনেকেই। কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন অধ্যাপক বলেন, গালি মূলত মন থেকে রাগ, ক্ষোভ, বিতৃষ্ণা বের করে দেওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি মানসিক চাপ কমানোর সবচেয়ে সহজ উপায়।

মনোবিদরা বলেন, যারা উত্তেজিত হলেও গালি দিতে পারেন না বা দেন না, তাদের বেশিরভাগের মধ্যে উচ্চ রক্তচাপ, অবসাদ ও নানা স্নায়বিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। এখানেই শেষ নয়, এসব ব্যক্তির মধ্যে দ্বিমুখী ব্যক্তিত্বও দেখা যেতে পারে। যারা সহজে গালি দিয়ে চাপমুক্ত হতে পারেন তাদের জন্য মানসিকভাবে সুস্থ থাকাটা তুলনামূলক সহজ।

গালি দেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে স্থান-কাল-পাত্রের। কোন কথা কখন এবং কীভাবে বলতে হবে তা জানাটা জরুরি। নয়তো গালির কারণে বিপদ বাড়তে পারে। সামাজিকভাবেও আপনি হতে পারেন ‍উপেক্ষিত। অন্যের কাছে সম্মানীয় হতে চাইলে গালি দেওয়ার অভ্যাস পরিবর্তন করাই বরং ভালো। সেজন্য আপনাকে আরও বেশি ঠান্ডা মাথার মানুষ হতে হবে। ধৈর্যধারণ করা শিখতে হবে। মানসিকভাবে হালকা থাকার জন্য ইতিবাচক কোনো পথ বেছে নেওয়া যেতে পারে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy