এক্সারসাইজের পর খান এই খাবার! ব্যায়ামের ধকল সামলে উঠতে পারবেন

কলা খাওয়া মানেই দেহে পটাশিয়ামের যোগান দেওয়া। আর দেহে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়তে থাকলে স্বাভাবিকভাবেই শরীরের কর্মক্ষমতা বাড়তে শুরু করে। কলা শুধু সুস্বাদু নয়, বরং স্বাস্থ্যকরও বটে। ব্যায়ামের আগে ও পরে ওটসের সাথে মিশিয়েও খেতে পারেন কলা।

সম্প্রতি এক গবেষনায় জানা যায়, যারা নিয়মিত জিম করেন, কলা তাদের জন্য বেশি উপকারি। মূলত এতে বেশি পরিমাণে ফাইবার ও কম ক্যালোরি থাকে বলে তা ফিট থাকতে কাজে আসে। ব্যায়ামের সময়ে শরীরের যে শ্রম হয় তার জ্বালানি হিসেবে কলায় থাকে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট।

ব্যায়াম শরীরের জন্য খুবই কষ্টকর। সাধারনত ব্যায়ামের পর অনেকেরই প্রচণ্ড ক্ষুধা লাগে। এ সময়ে শরীরের দরকার হয় কারবোহাইড্রেট বা শর্করা, যা অনায়াসেই আপনি কলা থেকে পেতে পারেন। ব্যায়ামের পর পেশীর ক্ষতিপূরণে কাজে আসে এই শর্করা। শুধু তাই নয়, কলার প্রচুর পটাশিয়াম আছে, যা কিনা পেশীর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই জরুরী। প্রতিদিন জিমে ব্যায়াম করলে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৪,৭০০ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম দরকার। এই পটাশিয়াম পাওয়ার জন্য কলা খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন।

আমেরিকান ডায়েটিক অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য অনুযায়ী, ব্যায়ামের পর পেশীর ক্ষয়পূরণে প্রোটিনও জরুরী। এ কারণে কলার সাথে প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত। কলা দিয়ে মিল্কশেক তৈরি করতে পারেন অথবা দইয়ের সাথে খেতে পারেন কলা। এতে আমাদের শরীর দ্রুতই ব্যায়ামের ধকল সামলে উঠতে পারে

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy