ক্লান্তি আর আলসেমি ক্রমশ চেপে ধরেছে আপনাকে? তাহলে এই তথ্যটি আপনার জন্য

কেন বলুন তো এমন হয়? সপ্তাহের শুরুতে হোক বা শেষে, ছুটির দিন হোক বা কাজের দিন, বিছানা থেকে ওঠার পরই মুখটা গোমড়া হয়ে থাকে? কাপের পর কাপ কফিতেও চনমনে হয়ে ওঠেন না, ক্লান্তি আর আলসেমি ক্রমশ চেপে ধরতে থাকে? যাঁরা একটা ডেস্কে বসে টানা কাজ করেন এবং সে সময় অন্য কারও সঙ্গে কথাবার্তা বলার সুযোগ তেমন থাকে না, তাঁদের ক্ষেত্রে বিশেষ করে এই ধরনের সমস্যা বড়ো হয়ে দেখা দেয়। দুপুরের পর থেকেই লম্বা লম্বা হাই ওঠে, বিরক্তি আর হতাশা চেপে ধরে। শেষে দ্বারস্থ হতে হয় ঘুমের ওষুধের, কারও কারও তো ডাক্তারের সাহায্যও লাগে। তার চেয়ে সময় থাকতে সাবধান হওয়া ভালো না?

কাজের ফাঁকে বিরতি নিন
সারাক্ষণ এক জায়গায় বসে কাজ করবেন না, মাঝে মাঝে বিরতি নিন। লম্বা ব্রেক সম্ভব না হলেও অল্প সময়ের জন্য একটু হেঁটে-চলে বেড়ান। কফি ভেন্ডিং মেশিন পর্যন্ত যান, নিজের জল নিজে ভরুন। এই ব্রেকের পর কিন্তু কম্পিউটারে ফিরে গিয়ে ফেসবুক খুলবেন না বা হোয়াটসঅ্যাপে সদ্য আসা জোকের উত্তরে ভালো কোনও জিআইএফ খুঁজে বের করতে ব্যস্ত হয়ে পড়বেন না। সরাসরি কাজে ঢুকুন। ব্রেকের সময়ে বরং সোশাল মিডিয়ায় টুক করে একটু ঘুরে আসতে পারেন।

কোনও একটা হবির চর্চা করুন
গান শোনা, ছবি আঁকা, নাচ, রান্না, সেলাই, বই পড়া, বাচ্চাদের পড়ানো, বিদেশি ভাষা শেখা, ব্যায়ামের মতো কোনও হবি আছে আপনার? না থাকলে খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। বাড়ি আর কাজের বাইরে নিজের একটা অন্য পরিচয় তৈরি করুন, তাতে খানিকটা খোলা বাতাস আসবে জীবনে। ক্লান্ত হয়ে ঝিমিয়ে থাকার সুযোগ পাবেন না বরং রোজের ডিউটি শেষ করে নতুন কিছু ট্রাই করে দেখার জন্য মুখিয়ে থাকবেন।

সেডেন্টারি জীবনের লক্ষ্মণরেখা ছেড়ে বেরোন
জীবনটাকে আরও একটু অ্যাকটিভ করে তুলুন। টানা বসে বা শুয়ে থাকলে লাভের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়। ব্যায়াম করতে পারলে খুব ভালো, না হলে অন্তত স্ট্রেচিং করুন। তাতে আপনার শরীরের প্রতিটি কোষে অক্সিজেন পৌঁছবে। অক্সিজেনের জোগান অব্যাহত থাকলেই ক্লান্তিটা টের পাবেন না।

পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খান
ডিহাইড্রেশন কিন্তু আপনার ক্লান্তির অন্যতম প্রধান কারণ হতে পারে। ইন ফ্যাক্ট, বিভিন্ন গবেষণায় এ কথা প্রমাণিত হয়েছে যে তেষ্টার সময় জল না পেলে মানুষের মেজাজ খারাপ হতে আরম্ভ করে। তাই নিয়ম মেনে খাবার খাওয়ার পাশাপাশি জল খাওয়ার ব্যাপারটাকেও গুরুত্ব দিয়ে দেখুন।

ঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করুন
খাওয়ার মাঝে লম্বা সময়ের বিরতি আসছে না তো? সঠিক সময়ে খাওয়াদাওয়া করা একান্ত প্রয়োজনীয়। বেশিক্ষণ খিদে সহ্য করলে বা যথেষ্ট বিশ্রাম না নিলেও কিন্তু আপনার বিরক্তি আসতে পারে।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy