জীবনের ভঙ্গুর সময়ে ফ্যামিলি বন্ডিং এবং পরিবারের সদস্যদের সহমর্মিতার গুরুত্ব কতখানি, সেই ব্যক্তিগত উপলব্ধি নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী সোহা আলি খান। সম্প্রতি সাংবাদিক এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর নয়নদীপ রক্ষিতের ইউটিউব চ্যানেলে এক সাক্ষাৎকারে তিনি তাঁর জীবনের আশা-আশঙ্কার দোলাচল নিয়ে কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী তাঁর সবচেয়ে বড় ভীতির কথা প্রকাশ করে বলেন, “আমার সবচেয়ে বড় ভয় হল অকালমৃত্যু এবং প্রিয়জনদের হারানো। আপনি অন্য সবকিছু সামলাতে পারেন। কিন্তু এগুলোই আমাকে বেশি প্রভাবিত করে। আমি সব সময় এটা নিয়ে ভাবি।”
অভিনেত্রীর এই উদ্বেগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা। ২০২৩ সালে সোহার মা, কিংবদন্তি অভিনেত্রী শর্মিলা ঠাকুর, ফুসফুসের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করেছিলেন। সৌভাগ্যক্রমে, রোগটি প্রাথমিক পর্যায়ে অর্থাৎ স্টেজ জিরোতে ধরা পড়েছিল।
মায়ের আরোগ্য লাভের কথা বলতে গিয়ে সোহা তাঁর অন্তরের কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, “ফুসফুসের ক্যানসারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল প্রতিরোধ এবং শনাক্তকরণ। এটি প্রাথমিক পর্যায়ে অলৌকিকভাবে ঘটেছিল। যার ফলেই আমরা আজ এই ফলাফল পেয়েছি।”
সোহা ব্যাখ্যা করেন যে শর্মিলা ঠাকুরের রোগ নির্ণয় কেন তাঁদের পরিবারের জন্য বিশাল সৌভাগ্যের বিষয় ছিল। তিনি বলেন, “আমার মা ছিলেন খুব কম সংখ্যক লোকের মধ্যে একজন, যাঁদের ফুসফুসের ক্যানসার শূন্য পর্যায়ে ধরা পড়েছিল এবং তাঁর ক্ষেত্রে কোনো কেমোথেরাপি ছিল না, কিছুই ছিল না। তাঁর শরীর থেকে এটি বাদ দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি সৌভাগ্যক্রমে ঠিক আছেন।”
উল্লেখ্য, স্টেজ জিরো ফুসফুসের ক্যানসার বিরল। এই পর্যায়ে, অস্বাভাবিক কোষগুলি কেবল ফুসফুসের ভেতরের আস্তরণে পাওয়া যায় এবং গভীরে বা শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ে না। তাই সময়মতো উপযুক্ত চিকিৎসা জীবন বাঁচাতে পারে।
প্রসঙ্গত, সোহা আলি খানের বাবা, প্রাক্তন ক্রিকেটার মনসুর আলি খান পতৌদিও ২০১১ সালে ফুসফুসের তীব্র সংক্রমণ এবং শ্বাসযন্ত্রের ব্যর্থতার কারণে মারা যান। মায়ের বিরল স্টেজ-জিরো ক্যানসার থেকে কেমোথেরাপি ছাড়াই আরোগ্য লাভ সেই কারণে সোহার জীবনে ফ্যামিলি বন্ডিংয়ের গুরুত্ব আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।