বাবা ছিলেন একজন বাস কন্ডাক্টর, আজ রজনীকান্তকে করছেন পরিচালনা!

দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের বহু প্রতীক্ষিত ছবি ‘কুলি’ আগামী ১৪ আগস্ট মুক্তি পেতে চলেছে। পরিচালক লোকেশ কঙ্গরাজ পরিচালিত এই ছবিটি নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা তুঙ্গে। তবে এখন আলোচনায় শুধু সিনেমাটি নয়, এর পরিচালকের অসাধারণ জীবন কাহিনিও। লোকেশের বাস্তব জীবনের সঙ্গে রজনীকান্তের জীবনের এক বিশেষ মিল রয়েছে, যা চলচ্চিত্রটিকে আরও বিশেষ করে তুলেছে।

‘কুলি’ সিনেমার কাহিনিতে যেমন কুলি সম্প্রদায়ের জীবনের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তেমনি পর্দার বাইরেও রয়েছে এক অসাধারণ বাস্তব গল্প। রজনীকান্ত তার কর্মজীবনের শুরুতে একজন বাস কন্ডাক্টর ছিলেন, আর সিনেমার পরিচালক লোকেশ কঙ্গরাজের বাবাও ছিলেন এক সময়ের বাস কন্ডাক্টর। এই কাকতালীয় মিল সিনেমার গভীরতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।

একটি সাধারণ মধ্যবিত্ত পরিবারে বেড়ে ওঠা লোকেশ কঙ্গরাজ ফ্যাশন টেকনোলজি নিয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর এমবিএ করে তিনি একটি ব্যাংকে চাকরি শুরু করেন। কিন্তু সেই চাকরি করতে গিয়েই তিনি তার আসল প্যাশন, অর্থাৎ সিনেমার প্রতি আগ্রহ খুঁজে পান। একটি কর্পোরেট শর্ট ফিল্ম প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে তিনি ব্যাপক প্রশংসা পান, যা তার জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

কোনো ফিল্ম স্কুলে পড়াশোনা না করেও বা কোনো বিখ্যাত পরিচালকের সহকারী হিসেবে কাজ না করেও তিনি নিজের প্রতিভার জোরে এগিয়ে যান। তার কল্পনাশক্তিতে ভর করে তিনি প্রথমে ‘আচম থাভির’ এবং ‘কালাম’ নামে দুটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেন। এই কাজগুলো ‘আভিয়াল’ অ্যান্থলজিতে জায়গা করে নেয়, যা তাকে চলচ্চিত্র জগতে পরিচিতি এনে দেয়।

ব্যাংকের চাকরি ছেড়ে স্বপ্নের পিছনে ছোটার এই সাহস এবং কঠোর পরিশ্রমই লোকেশ কঙ্গরাজকে আজকের সফল পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে। রজনীকান্তের মতো একজন কিংবদন্তি অভিনেতার সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পাওয়া তার জীবনের এক দারুণ সাফল্য। তার এই জীবন কাহিনি যেন একটি অনুপ্রেরণামূলক সিনেমার চিত্রনাট্যের মতোই।

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy