সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিং লাইনআপে ধস নামালেন ভারতীয় বোলাররা। কুইন্টন ডি’ককের ঝোড়ো শতরান (৮৯ বলে ১০৬ রান) সত্ত্বেও তেম্বা বাভুমা ব্রিগেড মাত্র ২৭০ রানেই অল আউট হয়ে গেল, তাও ইনিংসের ১৩ বল বাকি থাকতেই। বিশাখাপত্তনমের মাঠে এখন মেন ইন ব্লু-এর পাখির চোখ সিরিজ জয়।
টানা ২০টি ওয়ান-ডে ম্যাচে টস হারের পর এদিন টস জেতেন ক্যাপ্টেন কেএল রাহুল। শিশির সমস্যা এড়াতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেয় ভারত। আর সেই সিদ্ধান্তকে সঠিক প্রমাণ করেন দলের বোলাররা।
প্রথম ইনিংসে ভারতের সফলতম বোলার ছিলেন কুলদীপ যাদব এবং প্রসিদ্ধ কৃষ্ণা। তবে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডার ভেঙে দেওয়ার আসল কৃতিত্ব প্রসিদ্ধর। তিনি ১০ ওভারে ৬৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৪টি মূল্যবান উইকেট। একই ওভারে সেঞ্চুরিয়ান ডি’কক এবং ব্রিৎজকে ফিরিয়ে দিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন এই পেসার। অন্যদিকে, কুলদীপ যাদব তাঁর কোটার ১০ ওভার বল করে মাত্র ৪১ রান খরচ করে ৪ উইকেট তুলে নেন, যা দক্ষিণ আফ্রিকার মিডল অর্ডারে বড় আঘাত হানে। একটি করে উইকেট পান আর্শদীপ সিং ও রবীন্দ্র জাদেজা। জাদেজা প্রোটিয়া অধিনায়ক বাভুমাকে (৪৮ রান) সাজঘরে ফেরান।
ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় দক্ষিণ আফ্রিকা। ওপেনার রায়ান রিকেলটন শূন্য রানে আউট হন। ডি’কক একদিকে দাঁড়িয়ে ৮৯ বলে ১০৬ রানের মারকাটারি ইনিংস খেলেন। ভারতের বিরুদ্ধে এটি তাঁর সপ্তম ওয়ান-ডে শতরান। একটা সময় দক্ষিণ আফ্রিকা ৩২০ রানের দিকে এগোলেও, প্রসিদ্ধ-কুলদীপের আঁটোসাঁটো বোলিংয়ের সামনে শেষ পর্যন্ত তারা ২৭০ রানে গুটিয়ে যায়। প্রথম দুই ম্যাচে সফল হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকার লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটাররা এদিন ব্যর্থ হন। এখন দেখার, এই ২৭০ রানের লক্ষ্য তাড়া করে টিম ইন্ডিয়া সিরিজ নিজেদের দখলে আনতে পারে কি না।