বলিউডের ‘হি-ম্যান’ ধর্মেন্দ্রর (Dharmendra) সম্পত্তির পরিমাণ প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা, যার মধ্যে রয়েছে ফার্মহাউজ, বিলাসবহুল রিসর্ট ও রেস্তোরাঁ। তাঁর প্রয়াণের পর থেকেই অভিনেতার এই বিশাল সম্পত্তির ভাগ-বাঁটোয়ারা নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শোনা গিয়েছিল, ধর্মেন্দ্রর দ্বিতীয় স্ত্রী হেমা মালিনী নাকি এই সম্পত্তি থেকে কানাকড়িও পাবেন না। প্রথম পক্ষের দুই ছেলে সানি দেওল, ববি দেওল এবং দুই মেয়ে এষা ও অহনা অবশ্যই সম্পত্তির ভাগ পাবেন।
তবে এবার একটি নতুন তথ্য সামনে এলো, যা ধর্মেন্দ্রর সম্পত্তির বিভাজন নিয়ে পুরনো ধারণাকে বদলে দিতে পারে। জানা গেছে, পাঞ্জাবে থাকা তাঁর বিপুল অঙ্কের একটি জমির ভাগ তাঁর পরিবার পাবে না।
পরিবারকে না দিয়ে কাকার পরিবারকে দান!
অভিনেতা তাঁর মৃত্যুর বহু আগেই পঞ্জাবের সেই পৈতৃক সম্পত্তি পরিবারের অন্য সদস্যদের নামে আগে থেকেই করে দিয়ে গিয়েছেন।
পাঞ্জাবের নাসরালি গ্রাম থেকে অভিনেতা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে এসেছিলেন ধর্মেন্দ্র। লম্বা স্ট্রাগলের সময়ে পৈতৃক সম্পত্তির দেখভাল করা তাঁর পক্ষে সম্ভব ছিল না। বলিউডে পায়ের মাটি শক্ত হওয়ার পর অর্থ উপার্জন ভালো হওয়ায় ধর্মেন্দ্র সিদ্ধান্ত নেন, তাঁর এই কোটি টাকা মূল্যের জমি, তাঁর কাকা এবং কাকার পরিবারকে দিয়ে দেবেন। যেমন ভাবা, তেমনই কাজ। বর্তমানে ধর্মেন্দ্রর কাকার নাতি-পুতিরাই পঞ্জাবের সেই জমির দেখভাল করছেন।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ধর্মেন্দ্রর ভাগ্নে বুটা সিং এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, জমি নিয়ে আত্মীয়দের মধ্যে বিবাদ শুরু হওয়ার আগেই তাঁর মামা এই গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছিলেন। বুটা সিং আরও জানান, ধর্মেন্দ্র তাঁর জন্মস্থানকে প্রচণ্ড শ্রদ্ধা করতেন এবং সুযোগ পেলেই জন্মভিটের মাটি কপালে ছুঁইয়ে নিতেন। বলিউডের হিম্যান হলেও, অভিনেতা নিজের শিকড় কখনও ভোলেননি। ধর্মেন্দ্রর এই পদক্ষেপ সম্পত্তির বিবাদ ঠেকাতে নেওয়া এক মাস্টারস্ট্রোক হিসেবেই দেখা হচ্ছে।