লালকেল্লা বোমা বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্তে এবার বড়সড় পদক্ষেপ নিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (NIA)। একটি বড় সূত্রের সন্ধানে সোমবার কাশ্মীরের দশটি এলাকায় ম্যারাথন তল্লাশি অভিযান শুরু করেছে NIA। এই অভিযানে তাদের সঙ্গে রয়েছে জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ এবং সিআরপিএফ (CRPF)।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, NIA আধিকারিকরা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন: মৌলবী ইরফান আহমেদ ওয়াগে, চিকিৎসক আদিল রাঠের, চিকিৎসক মুজাম্মিল গনাই, আমির রশিদ, এবং দিল্লি বিস্ফোরণের ‘সুইসাইড বম্বার’ উমরের সহযোগী জসির বিলাল ওয়ানি।
এ ছাড়াও, সন্দেহভাজনদের জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে আসা তথ্যের ভিত্তিতে উপত্যকার বেশ কয়েকটি জায়গায় তদন্তকারীরা হানা দিয়েছেন। এই স্থানগুলির মধ্যে রয়েছে শোপিয়ানের নাদিগাম, কোয়েল, চাঁদগ্রাম, মালাঙ্গপোরা এবং সাম্বোরা গ্রাম, যেখানে সন্দেহজনক কার্যকলাপের খবর মিলেছে।
হোয়াইট কলার সন্ত্রাসবাদী মডিউলের সন্ধানে:
সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, লালকেল্লা বোমা বিস্ফোরণের অন্যতম অভিযুক্ত মৌলবী ইরফানের বাড়িতেও এ দিন অভিযান চলছে। NIA-র লক্ষ্য হলো, এই হামলার সঙ্গে জড়িত যে কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী বা ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা এবং তাদের বিচারের আওতায় আনা।
উল্লেখ্য, দিল্লিতে বিস্ফোরণের কয়েক ঘণ্টা আগেই হরিয়ানার ফরিদাবাদ থেকে অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট সহ প্রায় তিন হাজার কিলোগ্রাম বিস্ফোরক ও আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। তদন্ত এগোতেই সেই সূত্র জুড়ে যায় লালকেল্লা বিস্ফোরণের সঙ্গে।
একইসঙ্গে, ধৃতদের জেরা করে খোঁজ মেলে ‘হোয়াইট কলার’ সন্ত্রাসবাদী মডিউলের, যার সঙ্গে যুক্ত ছিল চিকিৎসক মুজাম্মিল এবং চিকিৎসক শাহিন-এর মতো ব্যক্তিরা। এই মডিউলেরই অংশ ছিল ‘সুইসাইড বম্বার’ চিকিৎসক উমর নবি, যে ১০ নভেম্বর সন্ধ্যায় লালকেল্লায় গাড়ি বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছিল। এই শক্তিশালী জঙ্গি নেটওয়ার্কটিকে ভেঙে দেওয়াই এখন NIA-র প্রধান লক্ষ্য।