দুর্গাপুরে ‘ভাইজান’-এর জয়জয়কার! শহর দুর্গাপুরে প্রথম উড়ল আইএসএফের পতাকা, নওশাদ সিদ্দিকীর আদর্শে পথে নামলেন শতাধিক যুবক!

আর এক বছর পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে দুর্গাপুর মহকুমায় সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এলাকাগুলোতে এক নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে। এতদিন দুর্গাপুর জুড়ে আইএসএফের কোনও উপস্থিতি না থাকলেও, এবার নওশাদ সিদ্দিকীর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে বেশ কিছু যুবক প্রকাশ্যে দলের প্রচার শুরু করেছেন।

দুর্গাপুর শহরে আইএসএফের প্রথম পা:

  • নজিরবিহীন ঘটনা: দুর্গাপুর নগর নিগমের মোট ৪৩টি ওয়ার্ডের মধ্যে সর্বপ্রথম ১২ নম্বর ওয়ার্ডের আমরাই গ্রামের শ’খানেক যুবক বুধবার সকাল থেকেই নিজেদের ওয়ার্ডে আইএসএফের পতাকা রাস্তার পাশে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধেছেন।

  • আদর্শ: কয়েকদিন আগে পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার জেমুয়া, আরতি গ্রামেও কয়েকশো যুবক আইএসএফের পতাকা হাতে প্রচারে নামেন।

যুবকদের বক্তব্য:

আমরাই গ্রামের যুবক শেখ মহসিন আলি বলেন, “এ রাজ্যে ২৯৪ জন বিধায়কের মধ্যে নওশাদ সিদ্দিকীকেই একমাত্র প্রতিবাদ করতে দেখা যাচ্ছে। আমরা তাঁকে আদর্শ মনে করছি। তাই এই রাজ্য এবং দেশকে বাঁচাতে ও জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে একসঙ্গে নিয়ে আমাদের রাজ্যকে এগিয়ে নিয়ে যেতে ভাইজানের দেখানো পথে কাজ করে যেতে চাই।”

রাজনৈতিক মহলের প্রতিক্রিয়া:

১. তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিক্রিয়া (উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি):

তৃণমূল নেতা উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায় এই বিষয়টিকে বেশি গুরুত্ব দিতে নারাজ। তিনি বলেন, “আরতি গ্রাম থেকে কিছু যুবক উস্কানি দিয়ে আইএসএফ করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু তারা ব্যর্থ হবে। কারণ, ১২ নম্বর ওয়ার্ডের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন তৃণমূল কংগ্রেসকেই ভরসা করেন। আমরা জানতাম যে আরতি গ্রাম থেকে একটা আইএসএফ করার নামে একটা অশুভ চক্র তৈরি হয়েছে। তবে এলাকার শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত হোক, এমন কোনও কাজ যেন কেউ না-করেন।” তৃণমূলের উচ্চ নেতৃত্ব আশা প্রকাশ করেছেন, ভোটের সময় এরাই আবার শাসকদলের সঙ্গ দেবে।

২. বিজেপির প্রতিক্রিয়া (অভিজিৎ দত্ত, পশ্চিম বর্ধমান জেলার সহ-সভাপতি):

বিজেপির সহ-সভাপতি অভিজিৎ দত্ত মনে করেন, সংখ্যালঘুরা এতদিন শাসকদলের ‘প্রতারণা’ বুঝতে পেরেছেন। তিনি বলেন, “সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা এতদিনে বুঝতে পারছেন যে শাসকদল তাদের মাথায় টুপি পরিয়েছে। তাদেরকে বিজেপির ভয় দেখিয়ে নিজেদের সঙ্গে রেখেছিল শাসকদল। আইএসএফের পক্ষ থেকেও প্রচার করা হয়েছে যে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে সংখ্যালঘুরা অনেক বেশি এগিয়ে যাচ্ছে। সুতরাং আইএসএফের সঙ্গে মতাদর্শ মেলার কারণে তারা আইএসএফের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছেন। এর প্রভাব নির্বাচনে পড়বেই।”

Related Posts

© 2025 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy