ওজন কমানো এবং একটি ফিট শরীর ধরে রাখা প্রায় সকলেরই কাম্য। তবে শরীরের অন্যান্য অংশের মেদ কমলেও পেটের মেদ কমাতে অনেকেইstruggle করেন। বিশেষ করে মহিলাদের ক্ষেত্রে সন্তান জন্মদানের পর এই সমস্যা আরও প্রকট হয়ে ওঠে। তবে সঠিক জীবনযাত্রা এবং কিছু নিয়ম মেনে চললে পেটের মেদ কমানো মোটেই কঠিন নয়।
১. বেশি করে জল পান করা:
ওজন কমানো এবং সুস্বাস্থ্য বজায় রাখার অন্যতম সেরা উপায় হলো পর্যাপ্ত পরিমাণে জল পান করা। এর পাশাপাশি ডিটক্স ওয়াটার, গ্রিন টি, ব্ল্যাক টি, ব্ল্যাক কফি এবং ফলের জুসের মতো পানীয় গ্রহণ করা উপকারী। এই ধরনের পানীয় আপনার স্বাস্থ্য ভালো রাখতে এবং শরীরের অতিরিক্ত চর্বি কমাতে সহায়ক। তবে চিনিযুক্ত ও অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে।
২. চিনিযুক্ত খাবার ত্যাগ করা:
চিনি সমৃদ্ধ খাবার শরীরে অক্সিটোসিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে। নিঃসন্দেহে চিনিযুক্ত স্ন্যাকস খেতে সুস্বাদু, তবে তা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। চিনি শরীরে দীর্ঘক্ষণ ধরে থাকে এবং সহজে নির্গত হতে চায় না। ডোনাট, কেক, চকোলেট, কুকিজের মতো খাবারে অস্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, যা পেটের মেদ বৃদ্ধি করে। এই চিনি শরীরে জমে টক্সিনে রূপান্তরিত হয়।
৩. প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ:
প্রোটিন দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সাহায্য করে, কারণ এটি হজম হতে বেশি সময় নেয়। এছাড়াও, প্রোটিন শরীরে শক্তি যোগায়। আপনার ডায়েটে প্রোটিনের জন্য ডাল, ওটস, সবুজ শাকসবজি, ডিম এবং বাদামের মতো খাবার যোগ করা উচিত।
৪. লবণের পরিমাণ কমানো:
লবণে সোডিয়াম থাকে, যা শরীরে ফোলা ভাব সৃষ্টি করে এবং মেটাবলিজমের হার কমিয়ে দেয়। মেটাবলিজম ধীর হলে ওজন কমানো কঠিন হয়ে পড়ে। ডায়েটিশিয়ানরা রাত ৮টার আগে রাতের খাবার খাওয়ার পরামর্শ দেন, কারণ রাতের বেলা মেটাবলিজমের গতি কমে যায়। তাই দেরিতে রাতের খাবার খেলে হজম প্রক্রিয়া কঠিন হতে পারে।
৫. শস্যদানা যুক্ত খাবার খাওয়া:
পুষ্টিকর শস্যদানা ওজন কমাতে সহায়ক। রুটি, আটা, বিস্কুট এবং অন্যান্য পরিশোধিত শস্যযুক্ত খাবার ওজন কমানোর জন্য তেমন উপকারী নয়। তবে পুরো শস্যদানা খাওয়া ওজন কমানোর জন্য অত্যন্ত সহায়ক।
এই সহজ নিয়মগুলো মেনে চললে সন্তান জন্মদানের পরেও পেটের মেদ কমানো সম্ভব এবং একটি সুস্থ ও ফিট জীবনযাপন করা যায়।