ওড়িশার কেওনঝড় জেলায় একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে। স্কুলের ক্লাসঘরে ঘুমিয়ে পড়ার পর এক সাত বছরের ছাত্রীকে ভেতরে তালাবন্ধ করে চলে যায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। সারা রাত ওই অবস্থায় থাকার পর মেয়েটি জানালার রেলিং দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করে, কিন্তু মাথা আটকে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করা হয় এবং এই ঘটনায় স্কুলের প্রধান শিক্ষককে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
কী ঘটেছিল?
জোছনা দেহুরি নামের সাত বছর বয়সী এই ছাত্রীটি বৃহস্পতিবার অন্যান্য দিনের মতো স্কুলে গিয়েছিল। বিকেল ৪টায় স্কুল ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু জোছনা ক্লাসের শেষ বেঞ্চে ঘুমিয়ে পড়েছিল এবং শিক্ষক বা অন্য কেউ তাকে দেখতে পায়নি। ফলে স্কুল কর্তৃপক্ষ ক্লাসে তালা দিয়ে চলে যায়।
যখন ঘুম ভাঙে, জোছনা দেখে দরজা বন্ধ। তখন সে জানালা দিয়ে বেরোনোর চেষ্টা করে। কিন্তু তার মাথা জানালার লোহার রেলিঙে আটকে যায়। সেই অবস্থায় সে সারা রাত আটকে থাকে।
কীভাবে উদ্ধার হলো?
এদিকে রাতে জোছনা বাড়ি না ফেরায় তার বাবা-মা চিন্তিত হয়ে পড়েন। পরের দিন সকালে স্কুলের রাঁধুনি স্কুল খুলতে এসে মেয়েটিকে ওই অবস্থায় দেখতে পান। তিনি গ্রামের লোকদের খবর দেন। গ্রামের মানুষ এবং পরিবারের সদস্যরা মিলে চাবি দিয়ে দরজা খোলেন এবং লোহার রড বাঁকিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করেন।
পরে মেয়েটিকে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, যেখানে চিকিৎসকরা তাকে সুস্থ বলে ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর স্কুলের প্রধান শিক্ষক গৌরহরি মহামানতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।