আজ দিল্লিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে এক বিশেষ সাক্ষাৎ করলেন শ্রী শ্রী শ্রী ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামী, মাইহোম গ্রুপের চেয়ারম্যান ড. জুপল্লী রামেশ্বর রাও এবং এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান রামুরাও। প্রায় ৪৫ মিনিট ধরে চলা এই বৈঠকে ‘সমতা মূর্তি স্ফূর্তি কেন্দ্র’ বা ‘স্ট্যাচু অব ইকুয়ালিটি’-র তিন বছর পূর্তি অনুষ্ঠান এবং এর আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য নিয়ে আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী এই পূর্তি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন।
হায়দরাবাদে অবস্থিত এই ‘সমতা মূর্তি’ ভক্তদের কাছে এক বিশেষ গুরুত্ব বহন করে। প্রতিদিন বিশেষ রীতি মেনে এই মূর্তির চত্বরে আরাধনা করা হয়। মূর্তির চত্বরে ১০৮টি দিব্যদেশম রয়েছে, যা দেবতাদের প্রতিমূর্তি হিসেবে পরিচিত। এই স্থানটি কেবল একটি দর্শনীয় স্থানই নয়, এটি আধ্যাত্মিক চেতনা ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের এক মিলনস্থল।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতকালে চিন্না জিয়ার স্বামী ‘স্ট্যাচু অব ইকুয়ালিটি’-র গুরুত্ব, আধ্যাত্মিক ও সাংস্কৃতিক তাৎপর্য বিশদভাবে ব্যাখ্যা করেন। প্রধানমন্ত্রী শ্রী শ্রী শ্রী ত্রিদণ্ডী চিন্না জিয়ার স্বামীর প্রতিষ্ঠিত ট্রাস্টের জনকল্যাণমূলক কাজ, বিশেষ করে ট্রাস্টের অধীনে পরিচালিত নেত্র বিদ্যালয় (দৃষ্টিহীনদের জন্য বিদ্যালয়) এবং আয়ুর্বেদ-হোমিওপ্যাথি কলেজ নিয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি ট্রাস্টের এই মহৎ পরিষেবাগুলির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
ড. রামেশ্বর রাও এবং রামুরাও আধ্যাত্মিকতাকে গুরুত্ব দিয়ে যেভাবে সমাজের জন্য কাজ করে চলেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাদের এই উদ্যোগেরও প্রশংসা করেন। এই সাক্ষাৎ কেবল ‘সমতা মূর্তি’র প্রচারেই নয়, বরং আধ্যাত্মিক ও সামাজিক কাজের প্রতি সরকারের সমর্থনকেও তুলে ধরল। আগামীতে প্রধানমন্ত্রী এই অনুষ্ঠানে যোগ দিলে সেটি এই আধ্যাত্মিক কেন্দ্রের জন্য এক বড় ঘটনা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।