যেটুকু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছিলেন ক্রেতারা, তা উধাও! টানা ওঠানামার পর ফের লাগামহীন হয়ে উঠেছে সোনার দর। গত কয়েকদিন ধরে চড়তে থাকা সোনার দাম বৃহস্পতিবার এক লাফে আকাশ ছুঁয়েছে, যার জেরে ২৪ ক্যারেট সোনার দাম ফের ১ লাখ টাকা প্রতি ১০ গ্রামের গণ্ডি অতিক্রম করে ফেলেছে! এই ঊর্ধ্বমুখী দামে দিশেহারা সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে স্বর্ণ ব্যবসায়ীরা। উৎসবের মরসুমের আগে এই মূল্যবৃদ্ধি রীতিমতো উদ্বেগে ফেলেছে সকলকে।
গত কয়েকদিন ধরেই সোনার বাজার ছিল অস্থির। কখনো একটু কমল, আবার কখনো লাফিয়ে বাড়ল। কিন্তু আজকের মূল্যবৃদ্ধি যেন সমস্ত পূর্বাভাসকে ছাপিয়ে গেল। যারা অক্ষয় তৃতীয়ার আগে কিছুটা দাম কমার আশায় বুক বেঁধেছিলেন, তাদের সেই আশা এখন নিরাশার রূপ নিয়েছে। সোনা কিনতে গেলেই ক্রেতাদের পকেটে পড়ছে টান, আক্ষরিক অর্থেই ‘ছ্যাঁকা’ খাচ্ছেন তারা।
এক নজরে কলকাতার আজকের সোনার দাম:
২২ ক্যারেট সোনা:
প্রতি গ্রাম: ৯,২৬৫ টাকা (গতকাল ছিল ৯,২৫০ টাকা) – বৃদ্ধির হার স্পষ্ট!
১০ গ্রাম: ৯২,৬৫০ টাকা (গতকাল ছিল ৯২,৫০০ টাকা)
২৪ ক্যারেট সোনা:
প্রতি গ্রাম: ১০,১০৮ টাকা (গতকাল ছিল ১০,০৯১ টাকা) – ১ লাখের গণ্ডি পার!
১০ গ্রাম: ১ লাখ ১ হাজার ৮০ টাকা (গতকাল ছিল ১ লাখ ৯১০ টাকা)
অর্থাৎ, প্রতি ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারেট সোনায় একদিনেই বেড়েছে প্রায় ৯৭০ টাকা, যা মধ্যবিত্তের নাভিশ্বাস তুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
কেন এই লাগামছাড়া বৃদ্ধি?
বাজার বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে সোনার দামের অস্থিরতা এবং ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতি এই মূল্যবৃদ্ধির অন্যতম কারণ। মার্কিন ডলারের ওঠানামা, বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চয়তা এবং কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলির সোনার প্রতি ঝোঁক, এই সবই সোনার দাম বাড়াতে ইন্ধন জোগাচ্ছে। মার্চ মাসেও সোনার দামে ওঠানামা দেখা গিয়েছিল, এবং গত বছরের অগাস্ট-সেপ্টেম্বর মাসে দাম কিছুটা সস্তা হওয়ার পর থেকেই তা ফের ঊর্ধ্বমুখী।
এই পরিস্থিতিতে যারা বিনিয়োগের জন্য সোনা কিনছেন, তাদের জন্য হয়তো এটি সুখবর। কিন্তু উৎসব, বিয়ে বা গয়না কেনার জন্য অপেক্ষায় থাকা সাধারণ মানুষ এখন কী করবেন, সেই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে।
আপনিও কি সোনার আজকের দাম জানতে চান? একটি মিসড কলের মাধ্যমে সহজেই এই তথ্য পেতে পারেন। ২২ ক্যারাট এবং ১৮ ক্যারাট সোনার দাম জানতে আপনার মোবাইল থেকে 8955664433 নম্বরে একটি মিসড কল দিন। কিছুক্ষণের মধ্যেই এসএমএসের মাধ্যমে রেট সংক্রান্ত সমস্ত তথ্য পেয়ে যাবেন। তবে, এই দামের অস্থিরতা কতদিন চলবে, সেটাই এখন দেখার বিষয়।