সদ্য মা হওয়া অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে নতুন মায়েদের কাজের পরিবেশ নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন। তার এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এলো, যখন পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা এবং অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যে কাজের সময় নিয়ে বিতর্কের জেরে দীপিকার একটি বিগ বাজেট ছবি ছেড়ে দেওয়ার খবর সামনে এসেছে। রাধিকার কথা যেন এই বিতর্কের আগুনে আরও ইন্ধন জুগিয়েছে।
সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার নতুন একটি ছবিতে দীপিকার কাজ করার কথা ছিল। কিন্তু কাজের সময় এবং অন্যান্য বিষয়ে একাধিক মতের অমিলের কারণে দীপিকা সেই ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। একটি বড় কারণ ছিল দীপিকার এই শর্ত যে, তিনি দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। দীপিকার বাড়িতে সদ্যজাত কন্যাসন্তান থাকায় তিনি কার্যত সারাদিন বাড়ির বাইরে কাটাতে চান না, বরং কাজ ও পরিবারকে ব্যালেন্স করে চলতে চান। দীপিকা এবং সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গার এই বিবাদে অনেকেই দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন, যার মধ্যে সাইফ আলি খান এবং অজয় দেবগণও রয়েছেন।
নতুন মা হওয়ার পরে কাজ নিয়ে কী বলেছেন রাধিকা?
এই বিতর্কের মাঝেই একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে রাধিকাকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, নতুন মা হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা কতটা সহজ? উত্তরে রাধিকা অকপটে বলেন, “আমার মনে হয় না ইন্ডাস্ট্রিটা নতুন মায়েদের জন্য খুব একটা সহজ জায়গা। কারণ আমরা যে কীভাবে কাজ করব, সেটা আমরা জানি না।”
রাধিকা আরও বলেন, “আমাদের সিনেমার দুনিয়ায় কাজ করা খুবই কঠিন। কারণ আমরা একটা সিনেমা তৈরি করতে অনেকটা সময় ব্যয় করি। আমরা যেভাবে কাজ করি, সেই পদ্ধতিটাও ভীষণ কঠিন। কখনও কখনও আমাদের সন্তানকে একবার দেখারও সুযোগও মেলে না। তাই আমার মনে হয়, আমাকে এই ব্যাপারে এখন ভাবতে হবে।” রাধিকার এই স্বীকারোক্তি ইন্ডাস্ট্রির প্রচলিত কর্মসংস্কৃতি নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে।
সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা ও দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যে কী সমস্যা হয়েছিল?
রাধিকার এই মন্তব্য যেন নতুন করে ফিরিয়ে এনেছে সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা আর দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যের বিতর্ক। সম্প্রতি সন্দীপ রেড্ডি বঙ্গা ও দীপিকা পাড়ুকোনের মধ্যেও কাজ পরিচালনা নিয়ে মতবিরোধের কথা শোনা যাচ্ছে। সন্দীপ দীপিকার বেশ কিছু দাবি মেনে নিতে পারেননি বলেই দীপিকা ছবি থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। দীপিকা বলেছিলেন, তিনি দিনে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করবেন না। এই বিষয়ে দীপিকার পাশে দাঁড়িয়েছেন সাইফ আলি খান ও অজয় দেবগণ।
রাধিকা আপ্টের এই সাহসী মন্তব্য বলিউডে নতুন মায়েদের জন্য কাজের পরিবেশ নিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনার সূচনা করেছে। গ্ল্যামার জগতের তীব্র প্রতিযোগিতা এবং দীর্ঘ কর্মঘণ্টা কিভাবে মায়েদের জন্য চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে, সেই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে ইন্ডাস্ট্রির অন্দরমহলে।