সম্প্রতি মা হয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী রাধিকা আপ্টে। আর তার পরই সরাসরি প্রশ্ন উঠেছে – এই ইন্ডাস্ট্রি কি আদৌ নতুন মায়েদের জন্য বন্ধুমনোভাবাপন্ন? বাকি নায়িকাদের মতোই সুযোগ দেওয়া হয় সেই অভিনেত্রীকে? রাধিকা আপ্টে একেবারে খোলামেলা স্বরে জানালেন— “না, আমি মনে করি এই ইন্ডাস্ট্রি এখনও মায়েদের জন্য বিশেষ সহায়ক নয়। সামনে কীভাবে কাজ সামলাব, নিজেই জানি না।”
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে রাধিকা বলেন, “আমাদের ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা খুবই কঠিন। দিনের পর দিন শুটিং, দীর্ঘ সময় ধরে একটানা কাজ, আর তার মধ্যে সন্তানকে না দেখতে পারার যন্ত্রণাটা সত্যিই ভারী হয়ে ওঠে।” তিনি আরও যোগ করেন, “আমাকে এখন এই বাস্তবতার সঙ্গেই সমঝোতা করে চলতে হবে।”
রাধিকার এই মন্তব্যটি এমন এক সময়ে আসে, যখন দীপিকা পাডুকোন এবং সাইফ আলি খানও পরিবারকে সময় দেওয়ার গুরুত্ব নিয়ে মুখ খুলেছেন। দীপিকা তো একধাপ এগিয়ে গিয়ে পরিচালক সন্দীপ রেড্ডি ভাঙ্গার ‘স্পিরিট’-এর মতো বিগ বাজেট ছবিকে না বলে দিয়েছেন— শুধুমাত্র ৮ ঘণ্টার কাজের দিন এবং ন্যায্য পারিশ্রমিক না পাওয়ায়। দীপিকার সেই সিদ্ধান্তকে প্রকাশ্যে সমর্থন করেছেন অজয় দেবগণ ও কাজল, এমনকী সাইফ আলি খানও।
রাধিকা জানিয়েছেন, মা হওয়ার পরে তিনি একদমই ডিপ্রেশনে ভোগেননি, বরং তিনি প্রস্তুত ছিলেন। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “আমি মানসিকভাবে মাতৃত্বের পরের সব ধাপের জন্য তৈরি ছিলাম। এমনকী আমার পরিবার ও বন্ধুদের আগেই বলে রেখেছিলাম, যেন তারা আমাকে সমর্থন করে। তবে অবাক করার মতোভাবে, আমি কিন্তু আনন্দেই ছিলাম, একটুও হতাশায় ডুবে যাইনি।”
প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে রাধিকা ও তার স্বামী বেনেডিক্ট টেলরের কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বর্তমানে তিনি লন্ডন ও মুম্বই— এই দুই শহরের মধ্যে সময় ভাগ করে নিচ্ছেন, যা তার নতুন জীবনের চ্যালেঞ্জ আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
একটা নতুন বাস্তবতায় দাঁড়িয়ে রাধিকা আপ্টের এই স্বীকারোক্তি যেন পুরো ইন্ডাস্ট্রিকেই একটা প্রশ্ন ছুড়ে দিল— ক্যামেরার পিছনে মায়েদের জন্য কি আদৌ তৈরি আমাদের গ্ল্যামার জগৎ? আমাদের বলিউড? এই প্রশ্ন এখন বলিউডের অন্দরমহলে আলোচনার নতুন খোরাক জুগিয়েছে।