পুরুষদের একটি প্রোস্টেট গ্রন্থি আছে, যা পুরুষের প্রজনন ব্যবস্থার অংশ। এটি মূত্রাশয়ের নিচে ও মলদ্বারের সামনে অবস্থিত।
এই গ্রন্থির সাহায্যে পুরুষদের বীর্য তৈরি হয়। তবে পুরুষরা যেসব ক্যানসারে বেশি ভোগেন তার মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসারে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (রেফ) বলে যে প্রত্যেক পুরুষের মধ্যে প্রোস্টেট ক্যানসারের লক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে। যার মধ্যে আছে ঘন ঘন প্রস্রাব, বিশেষ করে রাতে।
এই রোগে ঘন ঘন প্রস্রাবের কারণে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। রাতে প্রস্রাব করা ছাড়াও এই ক্যানসারের আরও কিছু লক্ষণ আছে। যেমন-
>> ঘন ঘন প্রস্রাবের চাপ, বিশেষ করে রাতের বেলা
>> প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া
>> প্রস্রাব করতে সময় লাগা
>> প্রস্রাব করার পরেও চাপ ধরে থাকা
>> পিঠের নিচের দিকে ব্যথা
>> লিঙ্গোত্থানে সমস্যা
>> নিতম্ব বা তার আশেপাশে ব্যথা
>> বীর্য কিংবা প্রস্রাবের সঙ্গে রক্ত যাওয়া
>> অন্ডকোষে ব্যথা ইত্যাদি।
প্রস্টেট ক্যানসারে আক্রান্ত পুরুষদের বীর্য বা প্রস্রাবে রক্ত থাকে। এছাড়া কোমর, নিতম্ব ও শ্রেণি অঞ্চলে অবিরাম ব্যথাও সতর্ক করে।
সিডিসির তথ্যমতে, প্রতিটি পুরুষই প্রোস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকিতে আছে। তবে বয়স্কদের এটি সম্পর্কে আরও সতর্ক হওয়া উচিত। যদি আপনার বয়স ৫০ বছরের বেশি হয় কিংবা পরিবারে এই ক্যানসারের ইতিহাস থাকে তাহলে এর ঝুঁকি আরও বেশি।
প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসা
এটি বিভিন্ন উপায়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে। প্রায়শই ডাক্তাররা সার্জারি, রেডিয়েশন থেরাপি, ক্রায়োথেরাপি, কেমোথেরাপি, হরমোন থেরাপি ইত্যাদির সাহায্যে এর চিকিৎসা করেন।
সিডিসি’র মতে, প্রোস্টেট ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য সার্জারি ও রেডিয়েশন থেরাপির পরও কিছু সমস্যার মুখোমুখি হতে হতে পারে সারাজীবন। এর মধ্যে আছে বন্ধ্যাত্ব, মূত্রাশয় নিয়ন্ত্রণ হারানো, মলদ্বারের সমস্যা ইত্যাদি।