অনেকে জল পান করার জন্য তামার পাত্র ও গ্লাস ব্যবহার করেন। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী তামার পাত্রে রাখা জল শরীরের তিনটি সমস্যার মধ্যে (বাত, সর্দি, পিট্টা) সামঞ্জস্য বজায় রাখতে সক্ষম।
তামার পাত্রে রাখা জল শরীরের পক্ষে উপকারী। তামার পাত্রে আট ঘণ্টা পর্যন্ত রাখা জল শরীরের পক্ষে খুব উপকারী।
আপনি যদি এর পুরো লাভ নিতে চান তাহলে রাত্রিবেলায় তামার জগ বা গ্লাসে জল ঢেকে রেখে দিন। সকালবেলায় খালি পেটে এই জল পান করলে অনেক রকম লাভ পাওয়া যায়।
তামার পাত্রে জল পান করলে কি সুবিধা পাওয়া যায় :
> পেটের সমস্যা সমাধান করে। যদি আপনি কোষ্ঠকাঠিন্য ও অম্লতার সমস্যায় জর্জিত তাহলে আপনি তামার পাত্রে রাখা জল পান করুন। হজমেও সাহায্য করে।
> তামা অর্থাৎ কপার সরাসরি আপনার শরীরে তামার অভাবকে সম্পূর্ণ করে। এর ফলে শরীরে রক্তের ঘটতি হয় না।
> রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া থেকে রক্ষা করে, শরীর সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
> নিয়মিত তামার পাত্রে রাখা জল পান করলে ত্বকে উজ্জ্বলতা আসে। ত্বকের সমস্যা দূর করতে কার্যকারী।
> তামার পাত্রে জল পান করলে হাঁটুর ব্যথা এবং প্রদাহ সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এছাড়া বাতের সমস্যা থেকেও ত্রাণ দেয়।
> তামার পাত্রে রাখা জলকে বিশুদ্ধ বলে মনে করা হয়। ডায়রিয়া, জন্ডিস এবং অন্যান্য রোগের ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।
> তামার পাত্রে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণ থাকে। যেটা ক্যান্সারের মতো গুরুতর রোগের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করতে সাহায্য করে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির মতে, তামার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিক্যানসার উপাদান। এটি ক্যান্সারের সূত্রপাত প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
> বর্তমানের সবথেকে বড় সমস্যা হলো স্থূলতা। শরীরের ওজন কমাতে তামার পাত্রে রাখা জল পান করতে পারেন। এই জল পান করলে শরীরের অতিরিক্ত চর্বি ঝরে যায়।