টাইফয়েড ও প্যারাটাইফয়েডের মতো রোগ জলের মাধ্যমে ছড়ায়। খাদ্যনালি বা অন্ত্রে জীবাণু সংক্রমণের ফলে এসব রোগ হয়। প্যারাটাইফয়েড রোগটি অনেকটা টাইফয়েডের মতো হলেও এর আক্রমণ টাইফয়েডের চেয়ে কম জোরালো, আর স্থায়িত্বও কম।
উপসর্গ: প্যারাটাইফয়েড হলে প্রথম দিকে হালকা জ্বর, বমি ভাব, অরুচি ও পেটব্যথা থাকে। ধীরে ধীরে জ্বর বাড়তে পারে। প্রথম দিকে কোষ্ঠকাঠিন্য থাকলেও পরে পাতলা পায়খানা হতে পারে।
রোগনির্ণয় ও চিকিৎসা: প্যারাটাইফয়েডের লক্ষণ দেখা দিলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি প্রয়োজনে র’ক্তের নমুনা পরীক্ষা করাবেন এবং তাতে রোগজীবাণুর কালচার করবেন। এটিই রোগনির্ণয়ের সঠিক পরীক্ষা। কিন্তু আগেই অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে ফেললে রোগনির্ণয়ে জটিলতা হতে পারে। চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ, প্রচুর জল ও তরল খাবার গ্রহণ করুন। শাকসবজি, ফলমূল ও আমিষজাতীয় খাবারও খেতে হবে।
জটিলতার ভয় নয়: টাইফয়েড হলে কোনো কোনো সময় খাদ্যনালির ভেতরে র’ক্তক্ষরণ এবং খাদ্যনালি ছিদ্র হয়ে যাওয়ার মতো গুরুতর জটিলতা হয়। তবে প্যারাটাইফয়েড রোগে এমন আশঙ্কা অনেক কম।
প্রতিরোধ করুন প্যারাটাইফয়েড: খাবার ঢেকে রাখুন। যেখানে-সেখানে অপরিচ্ছন্ন খাবার খাবেন না। খাবার তৈরি, পরিবেশন এবং খাওয়ার আগে সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন। বাসি খাবার খাবেন না। সংরক্ষণ করে রাখা খাবার ভালো করে গরম করে খেতে হবে। কাঁচা অবস্থায় হাঁসের ডিম খেলে এর মাধ্যমেও প্যারাটাইফয়েডের জীবাণু ছড়ায়। ফুটিয়ে জল পান করুন। জলের পাত্রটি ব্যবহারের আগে বিশুদ্ধ জল দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে। মলত্যাগের পর সাবান দিয়ে ভালোভাবে হাত ধুয়ে নিন।