একাধিক গবেষণায় দেখা গেছে শুধু পেট খারাপের মতো রোগের প্রকোপ কমাতে নয়, আরও বেশ কিছু জটিল রোগের চিকিৎসাতে কাঁচা কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ কলাতে থাকা কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার, পটাশিয়াম, বিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং আরও নানা সব উপকারি উপাদান শরীরের নানা উপকার সাধন করে।
এবার আসুন জেনে নেওয়া যাক কাঁচা কলার কর্যকরি ৬ টি গুণ-
১) রোগ প্রতিরোধক হিসেবে
বেশ কিছু গবেষণায় দেখা গেছে নিয়মিত একটা করে কাঁচা কলা খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। শরীরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক বের করতেও সাহায্য করে এটি। স্ট্রেস এবং মানসিক অবসাদ দূর করতেও এটি সাহায্য করে।
২) ওজন নিয়ন্ত্রণে
ওজন নিয়ন্ত্রণে কাঁচা কলা খুবই উপকারি। তা খাওয়ার মাধ্যমে হজম শক্তি নিয়ন্ত্রণে থাকে। যার ফলে শরীরে কম মাত্রায় ক্যালরি প্রবেশ করে। এর মাধ্যমে এটি ওজন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে থাকে।
৩) পেটের রোগের প্রকোপ কমায়
কাঁচা কলায় রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি ঘটায়। পাশাপাশি ডাইজেস্টিভ ট্র্যাকের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে। তাই শুধু পেট খারাপ নয়, যারা প্রায়শই গ্যাসের সমস্যায় ভুগেন তাদের জন্য কাঁচা কলা খুবই উপকারি।
৪) শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে
কাঁচা কলায় প্রচুর মাত্রায় ডায়াটারি ফাইবার, যা রক্তে উপস্থিত ক্ষতিকর কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে আর্টারির কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে। ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
৫)ডায়াবেটিস দূরে রাখে
কাঁচা কলা খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বৃদ্ধি পায় না। বরং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। তাই তো ডায়াবেটিকরা নিশ্চিন্তে কাঁচা কলা খেতে পারেন। তবে চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে নিলে ভালো হয়।
৬) ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে
গবেষণায় দেখা গেছে কাঁচা কলায় থাকা পটাশিয়াম শরীরে প্রবেশ করার পর ব্লাড ভেসেলের কর্মক্ষমতাকে বাড়িয়ে তোলে। সেই সঙ্গে শিরা-উপশিরার ভেতরে তৈরি হওয়া প্রেসারকেও কমিয়ে ফেলে। ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।