কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ হজমজনিত সমস্যা। যা শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্ক সবারই হতে পারে। মূলত খাদ্যাভাসের কারণেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে। খাবারে ফাইবারের উপস্থিতি কম থাকার কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয়ে থাকে।
শিশুদের ক্ষেত্রে এক বছরের কম বয়সীদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা সাধারণ হলেও তা গুরতর হতে পারে। তবে অনেক অভিবাবকই বুঝতে পারেন না বিষয়টি। তবে কিছু লক্ষণ আছে যার মাধ্যমে বুঝতে পারবেন, আপনার শিশু কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগছে কি-না-
>> খেয়াল করুন মল ত্যাগের সময় আপনার শিশু কষ্ট পাচ্ছে কি-না। কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে মল অনেকটা শক্ত হয়ে যায়। এর ফলে মল সহজে বের হয় না।
>> এরপর লক্ষ্য করুন শিশুর মল শক্ত কি-না। কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে শিশুর মল শক্ত, কালো এমনকি রক্তাক্ত হতে পারে।
>> কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণে পেটে ব্যথা হয়ে থাকে। যেহেতু সহজে মল বের হয় না, তাই শিশু কান্নাকাটি করে থাকে।
>> এক্ষেত্রে শিশুর পেট ফুলে যায় এবং সে কিছু খেতে চায় না। পেটে অতিরিক্ত গ্যাস জমার কারণেই এমনটি হয়।
>> কোষ্ঠকাঠিন্য হলে শিশুরা নিয়মিত মল ত্যাগ করে না। এটি গুরুতর হলে ৫-১০ দিনেও শিশু মল ত্যাগ করে না।
শিশুর কোষ্ঠকাঠিন্য হলে করণীয়
>> বুকের দুধ নিয়মিতভাবেই খাওয়াতে হবে। যদি কোনো ব্র্যান্ডের দুধ খাওয়ান শিশুকে, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শে নিয়ে যত দ্রুত সম্ভব তা বদলে ফেলুন।
>> শিশুর বয়স ৬ মাসের বেশি হলে ফিডারের মাধ্যমে ফলের রস খাওয়াতে পারেন।
>> ৪ মাসের বেশি বয়সী শিশুদেরকে প্রতিদিন ১-২ আউন্স জল পান করাতে পারেন। তবে প্রথমে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
>> ৬ মাসের বেশি বয়সী শিশুদেরকে ফাইবারসমৃদ্ধ খাবার খাওয়ান। অবশ্যই নরম খাবার খাওয়া হবে।
>> শিশুর মল ত্যাগে সুবিধার জন্য তাকে বসিয়ে রাখার চেষ্টা করুন।
>> নিয়মিত শিশুর পা ধরে আলতোভাবে ব্যায়াম করাতে পারেন সাইকেল চালানোর মতো করে। এতে করে পেটে গ্যাস জমবে না।
>> হালকা গরম জল দিয়ে শিশুর গোসল করাতে হবে।
>> আলতো করে শিশুর পেটে ম্যাসাজ করুন। এতে পেটে জমা গ্যাস বেরিয়ে যাবে।
>> রেক্টাল থার্মোমিটার দিয়ে আপনার শিশুর তাপমাত্রা মাপুন।