কফি খাওয়ার ফলে মানুষের মধ্যে অনুভূতি শক্তিগুলি আরও প্রখর হয়। এমনটাই জানাচ্ছেন গবেষকেরা। কফি মিষ্টত্বের স্বাদ বাড়িয়ে দিতে সাহায্যে করে। সম্প্রতি একটি পরীক্ষা করে জানা গেছে, কফি খাওয়ার পর মিষ্টি খেলে সেই স্বাদ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়।
ওয়াশিংটনের আরাহুস বিশ্ব বিদ্যালয়ের গবেষকেরা এই তথ্য একটি খাবারের জার্নালে প্রকাশ করেন। তারাই গবেষণা করে জানান, কফি পানের ফলে মানুষের অনুভূতি শক্তি ক্রমে প্রখর হয়ে ওঠে। বলা ভালো স্বাদ কোরকের মধ্যে মিষ্টত্বে স্বাদ বৃদ্ধি পায়। ১৫৬ টি খাবারের স্বাদের পরীক্ষা করা হয়েছে। কফি খাওয়ার আগে ও পরে প্রচুর খাবার খেয়ে পরীক্ষা করে দেখা গেছে একমাত্র মিষ্টি জাতীয় খাবারের স্বাদই দ্বিগুণ হয়ে যায়। তবে কফি খাওয়ার পর তেতো স্বাদ মোটেই পাওয়া যায় না। বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষক জানান, ‘আমরা অনেক মানুষের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখেছি কফি খাওয়ার পর মিষ্টির স্বাদ অনেকেই বেশি পাচ্ছেন।’ তবে কফি খাওয়ার পর মিষ্টত্বের স্বাদ কেন বৃদ্ধি পায় তা জানতে চাইলে বলা হয়, কফির মধ্যে ক্যাফেনের নির্দিষ্ট পরিমাণ থাকায় তার প্রভাবেই বাড়ছে মিষ্টত্বের স্বাদ। এই কারণেই কফি খাওয়ার সঙ্গে ডার্ক চকলেট খেলে তার স্বাদ বৃদ্ধি পায়। ফলে কপইর সঙ্গে ডার্ক চকলেট থেকে তার তেতো ভাব কেটে গিয়ে মিষ্টত্ব বেড়ে যায়।
তবে এই গবেষণা পত্রের সঙ্গে খাবার স্বাদ ও গন্ধের একটি সম্পর্ক রয়েছে। গবেষক আলেকজান্ডার জানান, ‘যেহেতু প্রতিটি খাবারের একটি নির্দিষ্ট স্বাদ রয়েছে তাই তা খাওয়ার সময় প্রভাবও পড়ে। তবে মিষ্টত্ব ও তিক্ত স্বাদের প্রভাব অনেক বেশি হয়।’ তবে স্বাস্থ্যের কথা ভেবে গবেষকেরা পরামর্শ দেন যাদের মধ্যে মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা রয়েছে তাদের চিনি খাওয়া বর্জন করাই শ্রেয়। প্রয়োজনে তাদের খাবারের মধ্যে থেকে কমাতে হবে মিষ্টত্বের স্বাদ।