ওজন কমাতে সন্ধ্যার পর যে ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না, জেনেনিন

সঠিক জীবনযাপন ও খাদ্যাভাস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সহজেই ওজন কমানো সম্ভব। একই সঙ্গে ওজন কমাতে হলে বেশ কিছু বিষয়ের প্রতি নজর রাখা জরুরি। অর্থাৎ আপনি কী খাচ্ছেন তার চেয়েও কোন সময়ে খাচ্ছেন, তা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।

আবার বেশিক্ষণ না খেয়ে থাকাটাও ক্ষতিকর। আবার খাবারের মান ভালো না হলেও ওজন কমানো কষ্টকর। তাই জেনে নিন ওজন কমাতে সন্ধ্যার পর যে ৫টি কাজ ভুলেও করবেন না-

>> হঠাৎ করেই ক্যালোরি কমিয়ে দেবেন না। এতে শরীরের বিপাক ক্রিয়ার হারও কমতে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি যতই ব্যায়াম করুন না কেন, শরীর ফ্যাট জমিয়েই রাখবে। ক্যালোরি গ্রহণের মাত্রা একেবারে কমিয়ে দিলে পেশি কমতে থাকে।

শরীরে সঞ্চিত জল বেরিয়ে যায় ও একই সঙ্গে জমিয়ে রাখা পুষ্টিগুণও চলে যায়। তাই প্রতিদিন ন্যূনতম ১২০০ ক্যালোরি আপনাকে গ্রহণ করতেই হবে। খাদ্য তালিকায় প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, ফ্যাট সবকিছু রাখাও জরুরি।

>> ওজন কমাতে রাতে কার্বোহাইড্রেট খাওয়া বন্ধ করে দেন অনেকে। এ কারণে পেট পুরোপুরি ভরে না। ফলে আবারও খিদে লাগতে পারে। তাই রাতে সুষম খাদ্য গ্রহণের পরামর্শ দেন ডায়েটিশিয়ানরা।

মারিয়ানা ডিনিন নামে এক ডায়েটিশিয়ান ও ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞের মতে, কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে আমাদের মস্তিষ্ক ও কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র পরিতৃপ্ত বোধ করে। এ ছাড়াও কার্বোহাইড্রেটের মাধ্যমে গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের মাত্রাও কমে যায় ও পেট ভরা থাকে।

>> বিকেলের পর থেকে হঠাৎ করেই যখন তখন খাবেন না। বিরক্ত বা মানসিক চাপে থাকলে মানুষের বেশি ক্ষুধা লাগে। এমন পরিস্থিতিতে রান্নাঘর, ফ্রিজ ও তাক থেকে প্রক্রিয়াজাত খাবার বাদ দিন। তার পরিবর্তে ফল, টকদই, শুকনো ফল, ওটস, মুসলি ও বেরি রাখুন ঘরে।

যাতে ক্ষতিকর মিষ্টি পদার্থ থেকে দূরে থাকতে পারেন। পুষ্টিবিদদের মতে, ডেজার্টে আইসক্রিমের পরিবর্তে গ্রিক দই, ফল, গ্রানোলা ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। এগুলিতে প্রোটিন পাওয়া যায় ও তারা আপনার মিষ্টি লোভকেও শান্ত করতে পারে।

>> ওজন কমাতে কখনো ক্র্যাশ ডায়েট অনুসরণ করবেন না। এটি মোটেও বুদ্ধিমানের কাজ নয়। এতে শুরুর দিকে ওজন হয়তো খানিকটা কমবে। তবে কিছুদিন পরই আবার তা ফিরে আসবে।

আপনি ভেতরে ভেতরে দুর্বল হয়ে পড়বেন, কমবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ডিহাইড্রেশন হতে পারে, বুক ধড়ফড়ানি বা হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

>> ওজন কমাতে হলে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি। শরীরের স্ট্রেস হরমোন কর্টিসোলের পরিমাণ বাড়বে, তার ফলেই বাড়বে ওজন। ঠিক সময়ে ঘুমোতে না গেলে অসময়ে ক্ষুধা লাগে ও অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার পরিমাণ বাড়ে।

Related Posts

© 2024 Tips24 - WordPress Theme by WPEnjoy