অনেক সময় সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন কিছু ঘটনা সামনে আসে, যা দেখে মানুষ স্তম্ভিত হয়ে যান। চিনের শানডং প্রদেশ (Shandong Province) থেকে এমনই একটি চাঞ্চল্যকর ঘটনা জানা গিয়েছে, যেখানে একজন ব্যক্তি লটারিতে প্রায় ১৪ লাখ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১১ কোটি টাকা) জিতেছিলেন। কিন্তু এই বিপুল পরিমাণ অর্থ জেতার পর তিনি এমন বেপরোয়া হয়ে উঠলেন যে এখন তাঁর স্ত্রী ডিভোর্সের মামলা করেছেন।
বিশাল অঙ্কের টাকা, চরম পরিণতি:
দেঝাউ-এর এই দম্পতির বিয়ে হয়েছিল ২০১৬ সালে। লটারিতে এত বিশাল অঙ্কের টাকা জেতার পর স্বামীর আচরণ পুরোপুরি বদলে যায়। তিনি দিনরাত জুয়া খেলতে শুরু করেন এবং মহিলা লাইভ স্ট্রীমারদের লক্ষ লক্ষ টাকা টিপ হিসেবে দিতে থাকেন। শুধু তাই নয়, তিনি এক মহিলা স্ট্রীমারকে একাই ১২ লাখ ইউয়ান (প্রায় ২০.৮৭ লাখ টাকা) টিপ দিয়েছিলেন।
স্ত্রীকে ‘শূন্য ব্যালেন্সের’ কার্ড:
স্ত্রী ইউয়ান (Yuan) জানিয়েছেন, যখন তাঁর স্বামী লটারি জেতার সুখবর দেন, তখন তিনিও খুব খুশি হয়েছিলেন। স্বামী তাঁকে বলেছিলেন, এই টাকা দিয়ে তিনি নিজের পছন্দের যেকোনো জিনিস কিনতে পারেন। স্বামী তাঁকে একটি ব্যাংক কার্ডও দিয়েছিলেন, যাতে নাকি তিন মিলিয়ন ইউয়ান (প্রায় ৪.২০ লাখ আমেরিকান ডলার) ছিল এবং যা তাঁরা খরচ করতে পারতেন।
স্বামীর ওপর বিশ্বাস থাকায় ইউয়ান অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স চেক না করেই কার্ডটি ড্রয়ারে রেখে দিয়েছিলেন। কিন্তু পরে ইউয়ান জানতে পারেন যে, তাঁর স্বামীর দেওয়া কার্ডে কোনো টাকাই ছিল না!
‘হানি’ মেসেজ ফাঁস হতেই চরম ক্ষোভ:
যখন স্ত্রী তাঁর স্বামীর এই সব কাণ্ডকারখানার কথা জানতে পারেন, তখন তিনি ভীষণ রেগে যান। তিনি স্বামীর ফোন পরীক্ষা করে দেখেন যে, তিনি এক মহিলা স্ট্রীমারের সঙ্গে ‘হানি’ বলে চ্যাট করছেন। এই মেসেজ দেখার পর ইউয়ানের রাগ সপ্তমে পৌঁছয়।
এই ঘটনার জেরে ইউয়ান এখন আদালতে ডিভোর্সের মামলা করেছেন। লটারিতে পাওয়া কোটি কোটি টাকা তাঁদের সাত বছরের সম্পর্ককে কার্যত ধ্বংস করে দিয়েছে।